ছবি: আপন দেশ
কয়েকদিন টানা শৈত্যপ্রবাহের পর তাপমাত্রা বেড়ে স্বস্তিতে ফিরেছে উত্তরের সীমান্ত জনপদ পঞ্চগড়ে। দিনের তুলনায় রাতভর হাড় কাঁপাচ্ছে বরফশীতল ঠান্ডা। তবে সকালে ঝলমলে রোদে জনপদে ফিরেছে স্বস্তির কর্মচাঞ্চল্য। রোদ সকালে কাজে যেতে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষদের।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১০ ডিগ্রির উপরে। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে পেয়ে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে শীতের তীব্রতা।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঝলমলে রোদ দেখা মিলছে সকাল থেকেই। ভোর থেকে রোদ উঠে যাওয়ায় বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। বেড়া বাড়তে থাকলে কমে যাচ্ছে শীতের তীব্রতা। সকাল সকাল কাজে বেড়িয়ে পড়েছেন দিনমজুর, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, কৃষক থেকে বিভিন্ন নিম্ন আয়ের মানুষ।
খড়কুটো আগুনে তাপাতে তাপাতে আলেয়া বেগম ও আফরোজা খাতুন জানান, দিনের বেলায় গরম হলেও রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা। রাতভর প্রবাহিত হচ্ছে বরফের মতো ঠান্ডা। যার কারণে আমাদের মতো গরীব মানুষগুলোকে খড়কুটো, কাগজের কাটন, টায়ার জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করতে হচ্ছে।
শীতে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষা থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত তিনদিন ধরে ১০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ১০ ডিগ্রির উপরে। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে পেয়ে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে শীতের তীব্রতা।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
