ছবি : আপন দেশ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে গাঁরো পাহাড়ের পাদদেশে সাঁতানীপাড়া গ্রামে কমলার চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষক সফদার আলী। তার সফলতা দেখে পাহাড়ী জনপদের অনেক কৃষকই এখন কমলা চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছে।
ভারতীয় সীমান্তবর্তী বকশীগঞ্জ উপজেলার গাঁরো পাহাড়ের পাদদেশে সাতানীপাড়া গ্রামের কমলা বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে টস টসে রসালো কমলা। স্বচোখে দেখতে আশেপাশের কৃষক আর উৎসুখ দর্শনার্থীদের ভীড় জমেছে পাহাড়ী জনপদের সে কমলার বাগানে।
কমলা চাষী কৃষক সফদার আলী জানান চার বছর আগে তার এক আত্মীয়ের কমলা বাগান দেখে তিনি কমলা চাষে ঝুঁকে পরেন। পরে কুষ্টিয়ায় একটি বাগান থেকে তিনি নাভীজাতের এ কমলার চারা সংগ্রহ করে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে তার বাড়ির আঙ্গিনায় শতাধিক কমলার চারা রোপণ করেন। প্রথমে সে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে বাগান শুরু করেন। প্রথম মৌসুমে ফলন কম হলেও এবার তার বাগানের ৭০/৮০টি গাছে বিপুল পরিমাণে কমলা ধরেছে।
তিনি আরো জানান, প্রথম বার কমলা চাষের বিষয়ে তেমন কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় লাভের মুখ দেখতে পায়নি। এবার ফলন ভালো হওয়ায় কমলা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তিনি। তার বাগান দেখে গ্রামের অনেকেই কমলা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, কৃষক সফদার আলী গত ২ বছর যাবত কমলার চাষ করে আসছেন। প্রথম চাষের পর ফলন কম পাওয়ায় পরবর্তীতে তিনি কৃষি অফিসে যোগাযোগ করেন। সে থেকে কৃষি কর্মকর্তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শে এবার অধিক ফলন হয়েছে। আর ওই কমলা বাগান করে লাভবান হয়েছেন কমলা চাষী কৃষক সফদার আলী।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।