Apan Desh | আপন দেশ

জাহাজে ৭ খুনে সন্দেহভাজন ইরফান গ্রেফতার

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:১১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১২:২১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

জাহাজে ৭ খুনে সন্দেহভাজন ইরফান গ্রেফতার

ছবি : আপন দেশ

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন আকাশ মণ্ডল ইরফানকে আটক করেছে র‌্যাব। বুধবার (২৫ ডিাসেম্বর) বেলা ১১টায় র‍্যাব-১১ এর মিডিয়া কর্মকর্তা তারেক এ গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ইরফান পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। জাহাজ থেকে উদ্ধার করা রক্তমাখা চায়নিজ কুড়ালের ফিঙ্গার প্রিন্টসহ যাবতীয় তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনিই ছিলেন জাহাজে থাকা নবম ব্যক্তি।

র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক আরও বলেন, ইরফানকে আমরা বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে কুমিল্লা র‍্যাব-১১ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। দুপুর ১২টায় তাকে নিয়ে কুমিল্লা র‍্যাব কার্যালয়ে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে হাইমচর থানায় মামলা অজ্ঞাত ডাকাত দলকে আসামি করে মামলা করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মোর্শেদ। ওই মামলার এজাহারে জাহাজ মালিক নবম ব্যক্তি হিসেবে ঠিকানাবিহীন জনৈক ইরফান নামের ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেন। এজাহারে জাহাজ মালিক উল্লেখ করেন, আহত জুয়েল তার সঙ্গে থাকা ৯ জনের মধ্যে ইরফান ছিল বলে হাতে লিখে জানান। সে সুস্থ হলে ডাকাতদের দেখলে চিনবে বলে ইশারায় জানিয়েছেন।

মামলার বাদী এজাহারে জাহাজে থাকা সাত জন খুন ও এক আহতের কথা উল্লেখ করেন। খুন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলাম, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সী, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী। এ ছাড়া আহত ব্যক্তি হলেন- সুকানি জুয়েল (২৮)। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সেকান্দর প্রকাশ সেকেন্ড খালাসীর ছেলে।

ঘটনার পর পুলিশ ওই জাহাজ পরিদর্শনকালে একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুড়াল, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি বাংলা খাতা, একটি সিল, একটি হেডফোন, এক মুঠো ভাত ও এক টেবিল চা চামচ তরকারি জব্দ করে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

নৌপুলিশ জানিয়েছে, আহত জুয়েল বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার শিকার কার্গো জাহাজ এমভি আল বাখেরা ঘটনাস্থলে পড়ে আছে। সেখানে নিরাপত্তার জন্য নৌ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া দাফন সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসন ২০ হাজার এবং নৌ পুলিশ ১০ হাজার টাকার সহায়তা দেয়। নিহতদের মধ্যে দুজনের বাড়ি ফরিদপুর, দুজনের নড়াইল, দুজনের মাগুরা এবং একজনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জে।

চাঞ্চল্যকর ৭ খুনের ঘটনা তদন্ত করতে এরইমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, কোস্ট গার্ড জেলা ও নৌ পুলিশের সমন্বয়ে আলাদাভাবে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়