ছবি : আপন দেশ
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতুর ওপর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রোববার (০৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি ট্রেন সেতুর পূর্ব থেকে পশ্চিম ও পশ্চিম থেকে পূর্বপাড়ে চলাচল করে। এ পরীক্ষা সোমবার (০৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত চলবে।
প্রথমে ট্রেনের গতি ২০ কিলোমিটার তোলা হলেও পর্যায়ক্রমে সবশেষ পরীক্ষায় ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত গতি ওঠে। এ সেতু দিয়ে পূর্ণাঙ্গ গতিতে, অর্থাৎ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালিয়ে দেখা হবে। যমুনা রেলওয়ে সেতুর চিফ সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাইনুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে আজ (রোববার) পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলবে। তার অংশ হিসেবে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে দুটি ট্রেন সেতুর পূর্ব পাড় থেকে পশ্চিম পাড়ে ও পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে ছেড়ে যায়। এরপর ১০টা ২০ মিনিটের দিকে দ্বিতীয়বার ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে দুই পাশ থেকে ট্রেন দুটি যমুনা সেতু অতিক্রম করে। এরপর ১১টা ১ মিনিটে একটি ট্রেন সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে ওঠে ও ১১টা ৫ মিনিটে পূর্ব পাড় থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি পশ্চিম পাড়ের সেতুর শেষ অংশ অতিক্রম করে। এভাবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে আজ।
যমুনা রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আবু ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, গত ২৬ নভেম্বর সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়েছিল। এরপর আজ প্রথমে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, এরপর যথাক্রমে ৮০ কিলোমিটার, ৯০ কিলোমিটার, ১০০ কিলোমিটার, ১১০ কিলোমিটার এবং সবশেষ ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে এবং ভুলত্রুটি সনাক্তকরণে কাজ চলবে।
পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলে সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই রেলসেতুটি উদ্বোধন করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৯ হাজার ৭৩৪ দশমিক ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে সময়ের ব্যবধানে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার মধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ দশমিক ২ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যাজেন্সি (জাইকা)।
ই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে। কিন্তু পরবর্তীতে সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
এদিকে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়। সেতুটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই জয়েন্টভেঞ্চার।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।