Apan Desh | আপন দেশ

ফুল-ফলের নার্সারীতে ভাগ্যবদল

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ১০ জানুয়ারি ২০২৫

ফুল-ফলের নার্সারীতে ভাগ্যবদল

ছবি : আপন দেশ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় বড়হরে ফুল আর ফলের নার্সারী করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষীরা। বড়হর ইউনিয়নের মৈত্র বড়হরে  বানিজ্যিক ভিত্তিতে ফুল ও ফলের চারা চাষ করে কৃষকরা তাদের জীবন যাত্রায় অনেক উন্নতি সাধন করেছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে গোটা উপজেলায় বড় ছোটো মিলে ১৬ টি নার্সারী আছে।

উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের মৈত্র বড়হরে প্রথম আব্দুস ছালাম ও তার দুই ভাই আব্দুল মজিদ ও আবু সাঈদ ফলজ ও বনজ জাতের গাছের নার্সারী করেন। বর্তমানে মৈত্র বড়হর এলাকায় বড় ছোটো মিলে প্রায় এক ডজন নার্সারী হয়েছে বলে জানা গেছে। এখানকার নার্সারীর মালিকদের মধ্যে রয়েছেন এরশাদ মিয়া, মো. শাহীন, আবু বক্বার সিদ্দিক, মানিক মিয়া, রিপন হোসেন, ফজলু মিয়া, খলিল, তাজমীন, আবু সাঈদ ও মো. ছালাম। 

একতা নার্সারীর মালিক মো. শাহাদত হোসেন বলেন, প্রায় পয়ত্রিশ বছর ধরে নার্সারী ব্যবসায় আছেন। তার পিতা আব্দুস ছালাম এলাকায় প্রথম নার্সারী করেন। এরপর তার পিতার সঙ্গে তার দুই চাচা নার্সারী ব্যবসা শুরু করেন। শাহাদত হোসেন জানান, তিনি জমি বাৎসরিক লিজ নিয়ে ফুল ও ফলের নার্সারী করেছেন। পুরো শীতকালসহ বছরের ছয় মাস ফুল ও ফুল গাছের ব্যবসা করেন। আর ছয় মাস নানা ফলের গাছ বিক্রি করেন। 

তার নার্সারীতে ছয় ধরণের গোলাপ ফুল ও চারা গাছ বিভিন্ন মোকাম বাজারে পাইকারী বিক্রি করেন। এছাড়াও তার নার্সারীর  নানা ধরণের ফুলের গাছের চারা মোকাম বাজারে পাইকারী বিক্রি করা হয়। আবার ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ সরাসরি নার্সারী থেকে ফুল ও ফুলের চারা কিনে নেন। 

তিনি বলেন, পৈত্রিক মাত্র দুই শতক  জমি পেয়েছিলেন। এখন তিনি নার্সারী ব্যবসার আয়ের টাকাও সাড়ে বারো শতক জমি কিনে বসতবাড়ী করেছেন। এছাড়া নগদ টাকায় জমি লিজ নিয়ে নার্সারী করে ব্যবসা করছেন। তার সন্তানদের পড়ালেখার খরচ চালচ্ছেন। 

মৈত্র বড়হরের মায়ের দোয়া নার্সারীর মালিক আবু বক্বার সিদ্দিক প্রায় বিশ বছর ধরে নার্সারী ব্যবসায় আছেন। তিনি শুধু গোলাপ ফুল ও এর গাছের ব্যবসা করেন বলে জানান। এখন এলাকায়  প্রায় চার বিঘা জমিতে নানা জাতের গোলাপ ফুলের গাছ লাগানো আছে। তার বাগানের গোলাপ ফুল ঢাকায় পাইকারী বিক্রি করেন। 

একই গ্রামের রাজু পড়ালেখার পাশাপাশি নার্সারী করে ফুল ও ফুলের চারা ব্যবসায় জড়িত আছেন। তিনি বলেন, প্রায় পচিশ শতক জমিতে নার্সারী করেছেন। তার নার্সারীর ফুলের চারা ও ফুল পাবনা শহরের একাধিক দোকানে পাইকারী বিক্রি করেন। পুরো শীতকাল এ ব্যবসা করেন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, মৈত্র বড়হর ছাড়াও আরো কয়েক এলাকায় ফুল ও ফলের নার্সারী আছে। এরা নার্সারী করে নিজেরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। 

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়