ছবি : আপন দেশ
উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে অনেকটা। কিন্তু ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে জেলার চারপাশ। যে কারণে মিলছে না সূর্যের। ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষ। সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তা ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে কমে দশমিক ৫ ডিগ্রি কমে সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। একই সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ রেকর্ড করা হয়।
এর আগে রোববার (১৯ জানুয়ারি) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার ( ১৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারী) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাস জুড়ে বেশ কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করায় নাকাল হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন। লোকজন খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। ঘরে ফিরছে সন্ধ্যা গড়ার সঙ্গে সঙ্গে। তবে বেলা বেড়ে সাড়ে ১০টা বাজলেও দেখা মিলেনি সূর্যের।
শীতের কারণে আয় রোজগার কমেছে নিম্নআয়ের মানুষদের। ঠিকমতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। কুয়াশার সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাস। এমন শীতে পরিবারের কেউ না কেউ জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এবং আকাশে মেঘ থাকার কারণে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। জানুয়ারি মাস জুড়ে আরও কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।