ছবি : আপন দেশ
‘কয়দিন থাকি খুউব জার! জারোতে হাত-ঠ্যাং শিষ্টি নাগে। গাড়ি চালবার আর মন চায় না। না চালাইলেই খামো কী? এভাবেই বলছিলেন ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হওয়া কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়ি চালক সিরাজুল মিয়া (৫৫)।
সিরাজুল মিয়ার মতো মাঘের হাড় কাঁপানো ঠান্ডা ও তীব্র শীতে কাবু হয়ে পরেছে দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী প্রান্তিক জেলা কুড়িগ্রাম। সে সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে মানুষের দূর্ভোগ। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাসে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে শীতের দাপট। বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। এ অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ঘোড়ার গাড়ি চালক ছাড়াও রিকশা চালক, ভ্যান চালক সহ জেলার অসহায় ও খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা।
এদিন রিকশায় যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের দিকে ছুটছেন নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দের বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম (৪৫)। তিনি বলেন, গাত শিরশির করি বাতাস নাগে। এমন ঠান্ডায় ভারী জাম্পারও ঢোকা দেয় না। ঠান্ডাত ইনকামও কমি যায়! হামার গুল্যার চারপাহে বিপদ।
এ পরিস্থিতিতে এ শীতের তীব্রতায় জর্জরিত এ অঞ্চলের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা। লাগাতার শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। ঠান্ডায় ঠিকমতো কাজ না মেলায় পরিবারের খাবারের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে অনেকেই।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্থানীয় রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এ জেলা হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় প্রতিবছর শীত বেশি অনুভূত হয়। মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মাসে জেলার ওপর দিয়ে আরও শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।