
ছবি : আপন দেশ
মাঘের অর্ধেক পেরিয়ে গেছে। সপ্তাহ দুই পরে বিদায় নেবে শীতকাল। তার আগে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রাত থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় প্রকৃতি। বহে হিমশীতল বাতাস। শীতের দাপটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পঞ্চগড়ের মানুষ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর এ দিনে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছিল।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় ঢাকা চারিদিক। তবে কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলছে সূর্যের। রোদ হলেও হিম বাতাসে ঝরে শীতের পারদ। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন গৃহপালিত ও বন্য প্রাণীরাও। লাগাতার শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষদের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।
শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। কামাই-রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে শীতজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ায় টাকার অভাবে ঔষুধপত্র কিনতে পারছেন না অনেকে।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।