Apan Desh | আপন দেশ

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মৃত ১০ বাংলাদেশীর পরিচয় মিলেছে

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৯:৪৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মৃত ১০ বাংলাদেশীর পরিচয় মিলেছে

ছবি: আপন দেশ

সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মৃত ২৩ বাংলাদেশীর মধ্যে ১০ জনের পরিচয় মিলেছে। তাদের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। নিহতদের পরিবারে চলছে মাতম। এদিকে, এ ঘটনায় মানবপাচারকারী দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসী।

নিহতরা হলেন, উপজেলার পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের চা বিক্রেতা হাসান হাওলাদারের ছেলে টিটু হাওলাদার, গোবিন্দপুরের বাসিন্দা আক্কাস আলী আকনের ছেলে আবুল বাশার আকন, সুন্দিকুড়ি গ্রামের নীল রতন বাড়ৈর ছেলে সাগর বাড়ৈ, একই গ্রামের মহেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে সাগর বিশ্বাস, গোবিন্দপুরের ফিরোজ শেখের ছেলে ইনসান শেখ, একই গ্রামের আশিষ কীর্তনীয়া, বৌলগ্রামের নৃপেন কীর্তনীয়ার ছেলে অমল কীর্তনীয়া, একই গ্রামের চিত্র সরদারের ছেলে অনুপ সরদার, শাখারপাড়ের সজিব মোল্লা ও সাদবাড়িয়ার রাজীব।

জানা গেছে, রাজৈর হরিদাসদি গ্রামের স্বপন মাতুব্বর, মজুমদারকান্দি গ্রামের মনির হাওলাদার ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলীপুরের রফিক দালালের মাধ্যমে তারা লিবিয়া যান। এ ঘটনায় জড়িত দালালদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পাশাপাশি নিহতদের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।

নিহত আবুল বাশারের বাবা আক্কাস আলী আকন বলেন, আমার ছেলেকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে দালাল মনির হাওলাদার ও স্বপন মজুমদার ২৮ লাখ নিয়েছে। ছেলের এমন মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমি দালালদের কঠোর বিচার চাই।

নিহত টিটু হাওলদারের চাচাতো ভাই রেজাউল হাওলাদার বলেন, আমার ভাইকে দালালে লোভ দেখিয়ে এভাবে মৃত্যুর মুখে ফেলে দেবে কখনো ভাবতে পারিনি। আমি দালালের বিচার চাই। ভাইয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তিনি। 

রাজৈর থানার ওসি মো. মাসুদ খান বলেন, ইতালি যাওয়ার সময় লিবিয়ায় রাজৈর উপজেলার ১০ যুবক মারা গেছে বলে জানা গেছে। নিহতদের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মোহাম্মদ সজীব বলেন, নিহত ১০ জনের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। দূতাবাসের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। 

আপন দেশ/এমএস

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়