
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর
পাথরের পাশাপাশি চাল আমদানিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দেশের চারদেশীয় স্থলবন্দর। বন্দরটিতে কয়েক দফায় এসেছে টনের পর টন চাল। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত থেকে পাঁচটি পণ্যবাহী ট্রাকে ১২৫ মেট্রিক টন আতপ চাল এসেছে।
মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) চাল আমদানির তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ভারত থেকে আবার ১২৫ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানি হয়েছে। এ চাল আমদানি করেছে আল আমিন স্ট্যাবিলিসড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে চালবোঝাই পাঁচটি ট্রাক ইয়ার্ডে প্রবেশ করে।
বর্তমানে বন্দরটিতে ৯৫ শতাংশ পাথর নির্ভর হলেও বর্তমানে চালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি হচ্ছে। এছাড়া মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিকদানা, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়। বর্তমানে গত কয়েক দিনে দুই দফায় ২০০ টন চাল আমদানি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন বলেন, সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) আবারও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচটি পণ্যবাহী ট্রাকে ১২৫ মেট্রিক টন ভারত থেকে আতপ চাল এসেছে। বন্দরে আসার পর এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। এভাবে নিয়মিত চালসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী পণ্য আমদানি করা হলে তাহলে আমাদের দেশে ভোগ্যপণ্য জিনিসপত্রের দাম কমবে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ও ১২ জানুয়ারি এবং গত বছরের ২৬ নভেম্বর ও ৮ ডিসেম্বর দুই দফায় ভারত থেকে আতপ চাল আমদানি হয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের আহবায়ক রেজাউল করিম শাহিন বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি দিয়ে চাল আমদানি হচ্ছে। এ পোর্ট দিয়ে যাতে আরও কিছু আমদানি করা যায় সেজন্য ব্যভসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছি ও উদ্বুদ্ধ করছি।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।