
ফাইল ছবি
পার্বত্য চট্টগ্রামে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে সশস্ত্র পাহাড়ি সংগঠনগুলো। সীমান্তবর্তী অন্তত ১০টি পয়েন্ট সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। এসব সংগঠন ধর্মীয় উপাসনালয় বা ভাবনাকেন্দ্রের আড়ালে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে এসব এলাকায় অভিযান চালালেই করা হয় অপপ্রচার। শতাধিক ফেসবুক পেজ ও অ্যাকাউন্ট ও বিভিন্ন নামে-বেনামে কমপক্ষে ১০টি ওয়েবপোর্টাল ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। যার বেশির ভাগই চলছে সীমান্তের ওপার থেকে ভারতের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে।
১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে সেনা উপস্থিতি কমানো হয়। যা সশস্ত্র সংগঠনগুলোর জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস, জেএসএস, ইউপিডিএফ, ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক, কুকি চীন ও এমএনপি নামে ছয়টি সংগঠন সক্রিয়। এসব সংগঠন চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করছে।
সম্প্রতি নানিয়ারচরসহ দুর্গম এলাকায় ২২টি মোবাইল টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। যাতে মোটা অঙ্কের চাঁদা না দিলে মোবাইল কোম্পানিগুলো নেটওয়ার্ক চালাতে না পারে।
নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রতি রাঙামাটির বন্দুকভাঙ্গার যমচুগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে। অভিযানে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়। এর পরপরই সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার অপপ্রচার চালাতে শুরু করে।
অভিযান শেষে সেনাবাহিনী সরে গেলে জেএসএস ও ইউপিডিএফের মধ্যে এলাকায় নিয়ন্ত্রণ নিতে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
গত ১৫ জানুয়ারি ভারতের মিজোরাম থেকে ইউপিডিএফের জন্য পাঠানো একটি অস্ত্রের চালান জব্দ করে মিজোরাম পুলিশ। এতে ছয়টি একে-৪৭ রাইফেল, ১০ হাজার ৫০ রাউন্ড গুলি ও ১৩টি ম্যাগজিন ছিল।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শহীদ উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভারতের পুরনো পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ধর্মীয় ইস্যু ব্যবহার করা হচ্ছে। সেনাক্যাম্প বাড়ানো কঠিন হলেও বর্তমান ক্যাম্পগুলোতে সেনাসংখ্যা বৃদ্ধি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।