লালপুর থানা ঘেরাও
নাটোরের লালপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে যৌথবাহিনীর হাতে দুই ছেলেসহ আটক বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় লালপুর থানা ঘেরাও কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সড়কে অবস্থান নেয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এর ফলে লালপুর-গোপালপুর, লালপুর-বাঘা এবং লালপুর-ঈশ্বরদী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
আটককৃতরা হলেন, লালপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খোকন (৫০) ও তার ছেলে অনিক (২৪ এবং ফিরোজ (৩২)।
এর আগে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজ বাড়িতে থেকে ছেলেদেরসহ মো. খোকনকে তুলে নিয়ে যায় লালপুর সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা।
আটককৃতদের পরিবার ও বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে খোকনের বাড়ি ঘিরে ফেলে সেনা সদস্যরা। এরপর ঘরে ঢুকে তাদের ব্যাপক মারধর করে তুলে নিয়ে যান সেনারা।
এদিকে, আটক নেতাকে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানান বিক্ষোভকারীরা। খোকনের স্ত্রী রত্না বেগম বলেন, আমার স্বামী ও দুই ছেলেকে নির্যাতন করে ধরে নিয়ে গেছে। আমি তাদের মুক্তি চাই।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হারুন রশীদ পাপ্পু জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। আটকৃতরা আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাপক নির্যাতিত। আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি ও জাহাঙ্গীর তাদের থেকে অনেক চাঁদাবাজি করেছে। পটপরিবর্তনের পরে মো. খোকন সেই টাকা ফেরত চাইলে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগে ফাঁসিয়েছে ওই আওয়ামী লীগ নেতারা। বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক।
লালপুর থানার ওসি নুরুজ্জামান বলেন, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে মো. খোকন ও তার দুই ছেলেকে সেনাবাহিনী আটক করে থানায় দিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় কোনো চাঁদাবাজির অভিযোগ নেই। বিষয়টি আমরা দেখছি।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
