ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. মঈন খান বলেছেন, দীর্ঘদিন আমরা ভোট দিতে পারি নাই। নতুন ভোটার যারা জীবনে একবারও ভোট দেয়নি, তারা সবাই ভোট দিতে মুখিয়ে আছে।
জনগণ একবেলা না খেয়ে থাকতে রাজি, কিন্তু তারা ভোট দিতে চায় মন্তব্য করেন তিনি বলেন, মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবেনা। তাই অবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. মঈন খান।
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সেজন্য সংস্কার বলে সময় নষ্ট করে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করা যাবেনা। গণঅভ্যুত্থানের বর্তমান সরকারকে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিকধারায় নির্বাচনের জন্যই দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাদেরকে ম্যান্ডেট দিয়েছিল। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়বে।
তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্মের তরুণ-যুবকদের আমরা বয়স দিয়ে নয়- তাদের নতুন চিন্তাধারার প্রতিফলন দিয়ে বিবেচনা করবো। অন্তর্বর্তী সরকারে তরুণ প্রজন্মের যে প্রতিনিধিরা আছেন- তারা যদি নতুন চিন্তার নতুন যোগ্যতা বা ফসল দেখাতে না পারেন তাহলে জাতি হতাশ হয়ে পড়বে।
সরকার দেশের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ অভিযোগ করে বিএনপির সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, রমজান এলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। এবারের রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুনাফাখোরদের চিহ্নিত করে কঠোরহস্তে দমন করতে হবে। রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়লে সাধারণ মানুষ ফুঁসে উঠবে।
সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলা এখনও নিয়ন্ত্রণে নেই। এ ব্যাপারে সরকারকে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। বর্তমান প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে থাকা আওয়ামী লীগের প্রেত্মাতাদের দমনে সরকার ব্যর্থ। এ বিষয়ে সরকারকে নতুন করে ভেবে দেখতে হবে।
স্বৈারাচারী সরকারের শাসনামলে তাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমরা আন্দোলন-সংগ্রামের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন মামলায় আমাদের ৫০ লাখের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছিল। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে বিএনপি ও সমমনা সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ ছাত্র-জনতার সঙ্গে একাত্ম হয়ে আন্দোলন করেছে।
সমাবেশ পরিচালনা করেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান। এছাড়া অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, স্থায়ী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
