
তেঁতুলিয়ায় স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোরখা পরে ভূত সাজের নৃত্য
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় একটি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোরখা পরে ভূত সাজের নৃত্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় সোস্যাল মিডিয়াসহ স্থানীয়দের মধ্যে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই নৃত্যের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, বোরখা পরে পর্দা করে স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিউজিকের তালে তালে ভূত সাজে নৃত্য করছে পাঁচ শিক্ষার্থী। তবে তাদের নৃত্যের ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হলে শুরু হয় নানা সমালোচনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘটনা। মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনব্যাপী চলে চলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। পরে পুরস্কার বিতরণের শেষে রাতে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানে বোরখা পরে ভূত বেশে নৃত্যে অংশ নেয় পাঁচ এসএসসি পরীক্ষার্থী। নৃত্যের ভিডিওটি কেউ ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করলে মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয় বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা। বিভিন্ন পোস্ট-কমেন্টে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষ সমালোচনা করেছে।
তানভির কবির সালমান নামের একজন মন্তব্যে লিখেন, পোশাক দিয়া ধর্ম কিংবা নৈতিকতা জাজ করবেন না। করলে আপনি সবচেয়ে বড় বেকুব। পর্দা আর বোরখা এক জিনিস না। আর এইটা বোরখাও না। খ্রিস্টান চার্জের নানদের পোশাক। বোরখা পরে নাচা যে কথা, শাড়িও তাই। সামাজিক হোক কিংবা ধর্মীয় নৈতিকতায় আঘাত লাগলে আয়োজকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। দোষ ওই মেয়েদের না’।
আব্দুর রহিম নামের আরেকজন মন্তব্যে বলেন, উপজেলা নিবাহী অফিসাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনি এদের শাস্তি ব্যবস্থা করেন। না হলে ইসলাম প্রিয় মানুষ তাদের ছাড় দেবে না।
ওমর ফারুক লালন লিখেন, এটা হয়তো ভূতের অভিনয়/নৃত্য প্রদর্শন করার জন্য গ্রুপ মিলে বানানো পোশাক। সচরাচর এমন বোরখা দেখা যায় না। তাই বিষয়টা ভালো মতো যাচাই করে মন্তব্য করা উচিত।
তবে কেউ পোস্টে লিখেছেন, পর্দা মেনে হালকা বিনোদন, এখানে খারাপ কিছু নেই। এটা নিয়ে এতো আলোচনারও কিছু দেখি না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি বলেন, ওই অনুষ্ঠানে বোরখা পরে নৃত্য করেছে কীনা তা নিশ্চিত হতে হবে। যদি বোরখা পরে করে থাকে, তাহলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি প্রশাসনের কাছে বলা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবু জাফরের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মঙ্গলবার দিনব্যাপি স্কুলের স্কুলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমাদের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সাজানো ভূতের পোষাকে নৃত্য করেছে। আসলে শিক্ষার্থীরা যে এ পোশাকে নৃত্য করবে তাও জানায়নি। আর স্কুলে কখনও রিহার্সেলও করেনি।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।