
টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান
রাজধানীর গাবতলী থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, নারীদের কাছ থেকে কিছু স্বর্ণ-রূপা লুণ্ঠিত হয়েছে। হয়ত এ সময় নারীদের গায়ে টাচ লাগতে পারে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাসে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান পুলিশ সুপার।
তিনি আরও বলেন, বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সবাই আন্তঃজেলার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাভার থেকে ওই তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় লুণ্ঠিত ৩টি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন<<>>চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানীর ঘটনায় গ্রেফতার ৩
গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে একজনের নাম মুহিত। তার বাড়ি মানিকগঞ্জে। বাকি দুজন হলেন, শরীয়তপুরের সবুজ ও ঢাকার শরীফ। তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। এছাড়া কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার আতিকুজ্জামানকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর গাবতলী থেকে রাজশাহীগামী বাসে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় দুই নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে যাত্রীরা বাসটি আটকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তা চায়। বাসযাত্রীদের হাতে আটক বাসচালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহবুব ও হেলপার সুমনকে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। তাদের ৫৪ ধারায় আদালতে তোলা হলে তারা জামিনে মুক্তি পান। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই ঘটনায় বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাত ৮-৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।