Apan Desh | আপন দেশ

ঝিনাইদহে ৩ খুনের নেপথ্যে কী?

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ২১:১১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঝিনাইদহে ৩ খুনের নেপথ্যে কী?

একজনের মরদেহ ধান খেতের পানির মধ্যে।

ঝিনাইদহে এক রাতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কথিত সামরিক কমান্ডার হানিফ ও তার দুই সহযোগীকে। শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর শ্মশান ঘাট এলাকার ক্যানালের পাশে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহত হানিফের বাড়ি হরিণাকুন্ডুর আহাদনগরে। ২০১৭ সালে প্রতিপক্ষ জিয়াউর রহমান জিয়াকে হত্যা করে কায়েতপাড়া বাওড়ের নিয়ন্ত্রণ নেন তিনি। ওই বাওড় থেকেই বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা চাঁদা উঠত। তবে তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। একসময় প্রেসিডেন্টের বিশেষ ক্ষমায় ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন। মৎস্যজীবী লীগের উপজেলা সহ-সভাপতি হন।

স্থানীয়রা বলছেন, ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পালাবদলে নতুন গ্রুপগুলো সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। হানিফের প্রতিপক্ষ কালু ভারতে পালিয়ে থাকলেও সম্প্রতি দেশে ফিরে আসে। শক্তি বাড়াতে শুরু করে। ধারণা করা হচ্ছে, আধিপত্য ধরে রাখতে প্রতিপক্ষ গ্রুপ হানিফকে হত্যা করেছে।

হত্যার পরপরই ‘জাসদ গণবাহিনীর কালু’ পরিচয়ে গণমাধ্যমে বার্তা পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, পূর্ব বাংলার কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর নেতা হানিফ ও তার দুই সহযোগীকে হত্যা করা হয়েছে। হানিফের সহযোগীদের সতর্ক করা হলো, অন্যথায় তাদেরও একই পরিণতি হবে।

৯০-এর দশকে ঝিনাইদহে চরমপন্থীদের দাপট ছিল। সর্বহারা পার্টি, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি, জাসদ গণবাহিনী সক্রিয় ছিল। পরে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে অনেকে খুন হন বা পালিয়ে যান। তবে কায়েতপাড়া বাওড়ের নিয়ন্ত্রণ চরমপন্থীদের হাতেই থেকে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে একই স্থানে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়েছিল। এবারও সে একই জায়গায় হানিফকে হত্যা করা হলো।

ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার জানান, হানিফের গ্রুপেরই কেউ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তথ্য আছে। তবে চরমপন্থী গ্রুপের সক্রিয়তা ফিরে এসেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকায় এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়