Apan Desh | আপন দেশ

‘রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে সরকার’

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ১ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৪:৪৮, ১ মার্চ ২০২৫

‘রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে সরকার’

লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে সরকার। যত দ্রুত তাদের ফেরত পাঠানো যাবে ততই মঙ্গল। এমন মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শনিবার (০১ মার্চ) সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা শেষে সাংবদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজারে অপহরণের প্রবণতা অনেক বেশি। দেশে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের অনেকে অপহরণসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে ততই আমাদের জন্য মঙ্গল। তারাই সমস্যা বৃদ্ধি করছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছি আমরা (সরকার)।

তিনি বলেন, মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কাগজে কলমে ১২ লাখ বলা হলেও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। এরা আমাদের গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে। এদের প্রত্যাবাসন ছাড়া সীমান্ত এলাকার অপরাধ কর্মকাণ্ড থামানো মুশকিল। আবার তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনও সম্ভব নয়। বলতে গেলে রোহিঙ্গা নিয়ে আমরা শাঁখের করাতে রয়েছি।

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য রয়েছে। কিন্তু আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্য দখলে নেয়ার পর থেকে বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে। আরাকান আর্মি অনেক জাহাজ আটকে রেখেছিল। ধরে নিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশি অনেক জেলেকে। এ কারণে দেশের সীমান্ত সুরক্ষা ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের স্বার্থে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন<<>>সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমার থেকে পণ্য আনার সময় সিটওয়েতে মিয়ানমার সরকার ও পরে নাফ নদের সীমান্ত অতিক্রমের সময় আরাকান আর্মিকে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। আর সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে মিয়ানমার সরকারসহ উভয়পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হচ্ছে।

দলীয় পরিচয়ে পর্যটন এলাকায় দখল-বেদখল, মারামারি ও ছিনতাই বাড়ছে, সাংবাদিকে এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা কোনো দলের বদান্যতায় কাজ করছি না। দেশের কল্যাণে যা যা করণীয় তাই করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাউকে কোনো দফতর থেকে বলে দেয়া হয়নি, অমুখ দলের লোকজনকে সহানুভূতি দেখাতে। কোনো দলের নেতাকর্মীরা দখল বা অন্য কোনো অপরাধে জড়ালে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দলীয় বিবেচনায় নয়, অপরাধ বিবেচনায় ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন।

সভায় সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), আনসার, কারা অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কক্সবাজার জেলার দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়