Apan Desh | আপন দেশ

গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ১ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৬:০৯, ১ মার্চ ২০২৫

গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি: আপন দেশ

বগুড়া সদরে সাবগ্রাম দক্ষিণ পাড়ায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আনোয়ারা বেগম (৫৮) ও তার মেয়ে ছকিনা বেগম (৩৫)। ছকিনার দ্বিতীয় স্বামী রুবেল মিয়া এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ স্বজনদের।

শনিবার (০১ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল হক।

নিহত ছকিনার মামাতো ভাই রবিউল ইসলাম জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পর ৬ বছর আগে হাসনাপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়ার সঙ্গে ছকিনার বিয়ে হয়। এরপর ছকিনা তার প্রথম পক্ষের সন্তান সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে বগুড়া শহরের আকাশ তারা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। রুবেল মাদকাসক্ত এবং চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় ছকিনা তাকে তালাক দেন।

আরওপড়ুন<<>>শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে নিহত ২ ডাকাত, গুলিবিদ্ধ ৯

এরপর মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসে আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে ছকিনা। এক বছর আগে রুবেলের অনুরোধে ছকিনা আবারও রুবেলের সংসারে ফিরে যায়। কিন্তু রুবেলের স্বভাব পরিবর্তন না করায় ৬ মাসে তাদের আবারও বিচ্ছেদ হয়।

সকিনা ও তার মা সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় দুই শতাংশ জায়গা কিনে সেখানে টিনের বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। একমাস আগে ছকিনা তার প্রথম স্বামী বাদশা মিয়াকে ফের বিয়ে করেন। বাদশা মিয়া তার গ্রামের বাড়ি সারিয়াকান্দির হাসনাপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। এ ঘটনা জানতে পেরে ছকিনার ওপর ক্ষুব্ধ হন রুবেল।

নিহত ছকিনার ছেলে সাব্বির আহম্মেদ জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেল বাড়িতে গিয়ে ছকিনাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। তাকে ছেড়ে দিয়ে প্রথম স্বামীকে বিয়ে করায় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায় সঙ্গে নিয়ে আসা রামদা দিয়ে কোপানো শুরু করে। এ সময় আনোয়ারা বেগম মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে রুবেল পালিয়ে যায়।

পরে দুজনেক উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত দেড়টার দিকে ছকিনা মারা যান। শনিবার বেলা ১১টার দিকে আনোয়ারা বেগমও মারা যান।

নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড় থেকে রক্ত মাখা রামদা উদ্ধার করেছে। শনিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত পুলিশের একাধিক টিম রুবেলকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালিয়েও পাওয়া যায়নি। নিহতদের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

আপন দেশ/এমএস

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়