Apan Desh | আপন দেশ

রংপুরে সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলা

রংপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ৩ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৯:৪২, ৩ মার্চ ২০২৫

রংপুরে সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলা

মিঠাপুকুর থানা।

রংপুরের মিঠাপুকুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (০২ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়ি কাগজিপাড়ায় বিএনপিতে পদ পাওয়া যুবলীগের দুই নেতার অনুসারীরা এ হামলা চালায়।

হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিকের ছোট ভাই খন্দকার রেদোয়ানুল ইসলাম মিঠাপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দীক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (১ মার্চ) ‘মিঠাপুকুরে বিএনপির কমিটিতে যুবলীগ নেতা’ শিরোনামে একটি সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর জেরেই হামলা চালানো হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নে সদ্য অনুমোদিত ২নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটিতে ওই ওয়ার্ডের  যুবলীগের সভাপতি রওজার হোসেন শয়নকে যুগ্ম সম্পাদক ও বিগত নির্বাচনের সময়ে আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতি করা ক্যাডার গ্রুপের নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ কর্মী ইদ্রিস আলী লায়নকে ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করা হয়। 

অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এ কমিটি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে ১ মার্চ ‘মিঠাপুকুরে বিএনপির কমিটিতে যুবলীগ নেতা’ এ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই সদ্য বিএনপিতে যোগদান করা যুবলীগ নেতা শয়ন ও লায়ন সংবাদ প্রকাশকারী সাংবাদিকের ওপর বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এরই জেরে রোববার বিকেল ৪ টার সময় সদ্য কমিটি পাওয়া বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী লায়নের ভাগনে মোকছেদুল, মোকলেছুর, মোকতারুল ইসলাম, আকতার হোসেন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সাংবাদিক খন্দকার রাকিবুল ইসলামের বসতভিটার সীমানা সংলগ্ন একটি কাঁঠাল গাছ কাটতে থাকে।

এতে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের ছোট ভাই খন্দকার রেদোয়ানুল ইসলাম বাধা দিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয়রা আহত রেদোয়ানুল ইসলামকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দেয়া হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক খন্দকার রাকিবুল ইসলাম জানান, গত এক যুগ আওয়ামী ক্যাডার পরিচয়ে ভাংনী ইউনিয়ন এলাকার ত্রাস সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বিএনপিতে পদ পাওয়া নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পরে ওই ক্যাডারের ভাগনে আমার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। হামলা চালানোর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ দেশে সংবাদকর্মীরাই যদি নিরাপত্তা না পায় তাহলে প্রশাসন সাধারণ মানুষকে কীভাবে নিরাপত্তা দিবে।

মিঠাপুকুর থানা পুলিশের এএসআই মো. মিঠুন জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরে ভুক্তভোগী সাংবাদিক পরিবারকে থানায় অভিযোগ দেয়ার জন্য বলেছি।

মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দীক জানান, হামলার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের ছোট ভাই বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের  করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়