Apan Desh | আপন দেশ

সীমান্তে অবৈধ ফিলিং স্টেশন অনুমোদন, তেল পাচারের শঙ্কা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ৫ মার্চ ২০২৫

সীমান্তে অবৈধ ফিলিং স্টেশন অনুমোদন, তেল পাচারের শঙ্কা

ছবি: আপন দেশ

বাংলাদেশের সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে ৮ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ফিলিং স্টেশন স্থাপনে আইনত নিষিদ্ধ। এরপরও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের মাত্র ২ দশমিক ৪ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ফিলিং স্টেশন অনুমোদন দিয়েছে গত সরকার।  অবৈধ আর্থিক লেনদেন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন নামের প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদন বাগিয়ে নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক এমপি মু. জিয়াউর রহমান এ অনুমোদনের ব্যবস্থা করেন। গত বছরের ৭ জুলাই তার তদবিরে যমুনা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেড সীমান্তঘেঁষে তেলের পাম্পের অবৈধ অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে সীমান্ত দিয়ে ভারতে তেল পাচারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে বাংলাদেশ তেল আমদানি করে থাকে। 

২০১৪ সালের সরকারি গেজেটে বিপিসি জানিয়েছেন, কোন নতুন ফিলিং স্টেশন স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার পর বিপণন কোম্পানীগুলো কর্তৃক বেশকিছু শর্ত প্রতিপালন করতে হবে। এরমধ্যে অন্যতম হলো- প্রস্তাবিত ফিলিং স্টেশনটি সীমান্তের শূন্ রেখা থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপন করা যাবে না।

এ বিধি ভঙ্গ করে গত স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মাত্র ২৮ দিন আগে ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনকে অনুমোদন দিয়েছে যমুনা ওয়েল। এ অনুমোদন বাতিলের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবের কাছে সম্প্রতি চিঠি পাঠানো হয়েছে। 

ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আইনভঙ্গ করে, বিপুল অর্থের বিনিময়ে ও প্রভাব খাটিয়ে ভোলাহাট উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত এলাকায় ২.৪ কিলোমিটারের মধ্যে ‘মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন’ নামে যমুনা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেড থেকে অবৈধ অনুমোদন নেয়া হয়েছে। সাবেক এমপি মু. জিয়াউর রহমান মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী মো. আব্দুল লতিফের সঙ্গে মোটা অংকের অর্থের চুক্তিতে এ অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেই নতুন কোন ফিলিং স্টেশন অনুমোদনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। কিন্তু উল্লিখিত নিষেধাজ্ঞাকালীনই ফিলিং স্টেশনটি অনুমোদন করে।

বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইন বর্হিভূতভাবে অনুমোদিত ফিলিং স্টেশনটির অনুমতি বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে। 

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়