Apan Desh | আপন দেশ

ইউএনওর কক্ষে জামায়াত নেতাদের মারধরের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ৮ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৯:১৬, ৮ মার্চ ২০২৫

ইউএনওর কক্ষে জামায়াত নেতাদের মারধরের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১

ছবি: আপন দেশ

পাবনার সুজানগরে ইউএনও কক্ষে জামায়াতে ইসলামীর চার নেতাকে মারধরের ঘটনার চারদিন পর মামলা করা হয়েছে। মামলার এক আসামিকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

শনিবার (০৮ মার্চ) বিকেলে সুজানগর থানার ওসি মজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক চর ভবানীপুর গ্রামের মৃত নায়েব আলী খাঁর ছেলে মজিবর রহমান খাঁ (৫৫), কালিমন্দির পাড়ার মৃত করিম খাঁর ছেলে মানিক হোসেন খাঁ (৪০), পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও চর সুজানগর এলাকার নযাই খাঁর ছেলে বাবু খাঁ (৪৫), একই এলাকার মৃত হোসেন শেখের ছেলে আরিফ শেখ (৩৫), মৃত রহমান শেখের ছেলে আব্দুল বাসেদ বাঁশি শেখ (৪২)। এদের মধ্যে আরিফ শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ওসি বলেন, ইউএনওর রুমে জামায়াত নেতাদের মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আরিফ খাঁ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার (০৭ মার্চ) রাতে উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি এবং উপজেলা জামায়াতের শিল্প ও বাণিজ্যিক বিষয়ক সেক্রেটারি মো. ওয়ালিউল্লাহ বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরওপড়ুন<<>>সৈকতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী

উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক কেএম হেসাব উদ্দিন বলেন, সরকারি অফিসে এত বড় একটি চাঞ্চল্যকর ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন মামলা করেনি। আমরা বাধ্য হয়ে মামলা করেছি। দু:খজনক হলেও সত্য মামলার আসামি উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের এখন পর্যন্ত পুলিশ ধরতে পারেনি। অদৃশ্য কারণে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এসব অপকর্মকারীদের জন্য গত ৬ মাসে সুজানগরে ৩ জন ওসি পরিবর্তন হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

উল্লেখ্য, সোমবার (০৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জামায়াতের চার নেতা কোনো একটি কাজে সুজানগর উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিসে যান। কিন্তু  ইউএনও অন্য একটি কাজে ব্যস্ত থাকায় তারা অফিস কক্ষে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মজিবর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে যান। বালু উত্তোলন কেন বন্ধ করা হয়েছে তা ইউএনওর কাছে জানতে চান তারা।

সেখানে আগে থেকে অপেক্ষমান জামায়াত নেতাদের দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা বলেন, এরা কেন এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে? এ কথা বলেই বিএনপি নেতারা ইউএনওর কক্ষ থেকে বের হয়ে আরও কয়েকজনকে ডেকে আনেন। পরে বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান, বাবু খাঁ, মানিক খাঁ, আব্দুল বাছেদ, আরিফ শেখসহ ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী ইউএনওর কক্ষে ঢুকে জামায়াত নেতাদের কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এদিকে, ঘটনায় অভিযুক্ত বিএনপির চার নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) রাতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে এ আদেশ দেয়া হয়।

আপন দেশ/এমএস
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়