
ছবি : আপন দেশ
রাজশাহী টেক্সটাইল মিলসের বিশাল পুকুর ভরাটের পাশাপাশি কয়েকশ' গাছ কেটে ফেলেছে দেশের অন্যতম বড় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারনা করছেন অনেকে।।
জানা গেছে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী টেক্সটাইল মিলস ২০২৪ সালের অক্টোবরে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের কাছে ৩০ বছরের জন্য লিজ দেয়া হয়। চুক্তির পর মিলটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘বরেন্দ্র টেক্সটাইল মিলস’। চুক্তি অনুযায়ী, মিলটি পরিচালনার দায়িত্ব পেলেও, এত সংখ্যক গাছ কর্তন ও পুকুর ভরাটের কোনো অনুমতি ছিল কিনা, সে প্রশ্ন উঠেছে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, শত শত গাছ কেটে ফেলার ফলে এলাকার তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, বাতাসের মান খারাপ হবে এবং কার্বন নিঃসরণ বাড়বে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আমাদের এলাকার অক্সিজেন ভান্ডার একের পর এক ধ্বংস করা হচ্ছে। বনবিভাগের ২০৫টি গাছ কাটার ধকল সামলানোর আগেই নতুন করে শত শত গাছ নিধন করা হলো।
এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল-এর স্থানীয় এজিএম শরিফ উদ্দিন বলেন, আমরা পুরো মিল ৩০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছি, সব স্থাপনা ব্যবহার করবো, তাই গাছ কাটা ও পুকুর ভরাটের প্রয়োজন পড়েছে। তবে বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
এর আগে প্রাণ-আরএফএল কর্তৃপক্ষ এর আগে মিলের উচ্চমূল্যের মেশিনারিজ গোপনে সরিয়ে নিতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে এসব ভারি মেশিন স্থানান্তরের সময় বাধা দিলে পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান করা হয়। পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতে আরো গাছ কাটা হলে এলাকার পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
পরিবেশ রক্ষা ও টেকসই শিল্পায়নের স্বার্থে এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করা প্রয়োজন। স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, সেটাও এখন দেখার বিষয়। এ ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যাতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধ্বংস না করে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।