
বাবার সঙ্গে অভিনেত্রী রুনা খান: ফাইল ছবি
যে বয়সে বাবা-মার কাছ থেকে পড়ালেখার খরচ নেয়ার কথা, সে বয়সেই তিনি উপার্জন শুরু করেন। উদ্দেশ্য নিজের পড়ালেখা আর সংসারে সহযোগিতা করা। বলছি জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুনা খানের কথা। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন কাজ করে তিনি অর্থ উপার্জন করেন যার বা যাদের খুশি করা জন্য, তাদেরই একজন রুনার বাবা। রুনার বাবা মারা গেলেন। রোববার (০৯ মার্চ) দিবাগত রাতে মারা যান রুনা খানের বাবা ফরহাদ হোসেন।
সোমবার (১০ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিতে এক ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন রুনা খান। এক ফেসবুক পোস্টে বাবার মৃত্যুর খবর সবাইকে জানান তিনি। ফেসবুকে রুনা খান লিখেন, ‘আমার আব্বু চলে গেলেন..! তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মসদই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সেখানেই তার দাফন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে রুনা খানের বাবার মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন তার সহকর্মী ও ভক্তরা।
রুনা খানের সঙ্গে তার বাবার সম্পর্ক ছিলো ভীষণ সহজ ও সুন্দর। মেয়ের কাজ নিয়ে তিনি গর্ববোধ করতেন। তাইতো গত বছরই বাবা দিবসে তাকে গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘গর্বিত বাবা সম্মাননা ২০২৪’-এ ভূষিত করা হয়।
সে পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, আমার মেয়ে অভিনয় করতে খুব ভালোবাসে। আমিও তার অভিনয় পছন্দ করি। যে তার দায়িত্ব সব সময় নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে। পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্বের কমতি কখনোই ছিলো না। এজন্য আমার মেয়েকে নিয়ে আমি গর্বিত।
আর বাবাকে নিয়ে রুনা খান বরাবরই বলে এসেছেন, একটিন মফস্বলে বড় হওয়া মেয়ে হিসেবে শোবিজে কাজ করার সাহস হয়তো পেতাম না যদি আমার বাবা-মা আমার উৎসাহ না দিতেন। তারা দুজনই শিল্পবোধ সম্পন্ন। বিশেষ করে আমার বাবা কখনোই আমার কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াননি। তিনি বরং সব সময় আমাকে অনুপ্রাণীত করেছেন ভালো কাজ করার জন্য।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।