Apan Desh | আপন দেশ

ইজারা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১২

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ১২ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৯:৪৩, ১২ মার্চ ২০২৫

ইজারা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১২

নোয়াখালীতে বাজারের ইজারা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ

নোয়াখালীর কবিরহাটে হাট-বাজার ইজারার দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২জন আহত হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বার্ষিক হাট-বাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয় উপজেলা প্রশাসন। এরপর সিডিউল কিনে অনেক নতুন ও পুরাতন দরদাতা দরপত্র জমা দেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ওই দরপত্র মূল্যায়ন শেষে বাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম শেষ করেন ইউএনও পূদম পুষ্প চাকমা। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে সর্বোচ্চ দর ২৩ লাখ টাকায় উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের আমিন বাজারের ইাজারা পায় চট্রগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান আকাশ।

এনিয়ে ইউএনও কার্যালয় থেকে বের হলে পুরাতন ইজারাদার বিএনপি নেতা ধনু মেম্বার ও তার ছেলে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সুজন অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে দুপক্ষ বাকবিতন্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে উপজেলা পরিষদের মাঠে তাদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ ও ধাওয়াপাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১২জন আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয় একাধিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আরওপড়ুন<<>>ধর্ষণের দায়ে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ফের ধর্ষণ মামলা

এ বিষয়ে কামরুল হাসান আকাশ বলেন, আমি কোনো দলের পরিচয়ে ইজারা পাইনি। ইজারা না পেয়ে ধনু মেম্বার ও তার ছেলে যুবদল নেতা সুজন গায়ে পড়ে মারামারি করতে চেয়েছে। এতে আমার একজন লোকের হাত ভেঙ্গে যায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।

অপরদিকে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. সুজনের ছোট ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা মিরাজুল ইসলাম মিরাজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের প্রায় ৯-১০জন লোক প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামরুল হুদা লিটন চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।  

কবিরহাট থানার ওসি মো.শাহীন মিয়া বলেন, ইজারার পাওয়ার ঘটনা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মনোমালিন্য ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে বের করে দেয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, এটা নিয়ে মনে হয় অভিযোগ পড়বে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূদম পুষ্প চাকমা বলেন, দরপত্র মূল্যায়নে অনেক মানুষ এসেছে। দরপত্র মূল্যায়ন শেষে জটলা হয়েছে। তখন আমি আমার অফিসে ছিলাম। তবে মারামারির কোনো ঘটনা দেখেনি। হাট-বাজার ইজারার প্রথম ধাপের কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আপন দেশ/এমএস        

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়