
যুবদলের নেতা আনোয়ার হোসেন নয়ন।
নোয়াখালীর কবিরহাটে যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন নয়ন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে। তিনি এক সরকারি কর্মচারীকে মোবাইল ফোনে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে হুমকি দিয়েছেন। ওই ফোনালাপের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
অভিযুক্ত নয়ন কবিরহাট পৌরসভার ফতেহজঙ্গপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জেলা যুবদলের ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক ও কবিরহাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাতে মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবির কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়।
ভুক্তভোগী মো. সাকায়েত উল্যাহ শিপন একই উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের চন্দ্রশুদ্ধি গ্রামের আবদুল ওহাবের ছেলে। তিনি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে কর্মরত।
অডিওতে শোনা যায়, যুবদল নেতা নয়ন সাকায়েতকে বলেন, আপনাকে চাকরি দিয়েছে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। কিন্তু আপনি নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ডোনেশনও দিয়েছেন। তাই আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আমাকে এক লাখ টাকা দেবেন। না দিলে কী হবে চিন্তাও করতে পারবেন না। এটা যেন তৃতীয় কানে না যায়, গেলে আপনার ঘাড় বাঁকা করে ফেলব। এটা যেন মনে থাকে। এটাকে থ্রেট (হুমকি) মনে করলেও করতে পারেন।
সাকায়েত বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন নয়ন উদ্ভট কথা বলে প্রতিনিয়ত এক লাখ টাকার জন্য ফোনে আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। না দিলে হত্যাসহ আমার বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ারও হুমকি দিচ্ছেন। গ্রামের বাড়িতে আমার স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রী, চার শিশুসন্তান ও মা-বাবা থাকে। আমি তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কাল রেকর্ড ও মোবাইল নম্বরসহ ঢাকার শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।
জিডির বিষয়ে জানা গেছে, এ ব্যাপারে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে যুবদল নেতা নয়ন বলেন, এ সাকায়েত উল্যাহ শিপন বিগত সময়ে আমাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যার পরিমাণ আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা হবে। তাই তাকে এক লাখ টাকা পরিশোধ করতে বলেছি। কথাগুলো বলতে গিয়ে ঝগড়ার মতো হয়ে গেছে। কিছু গালমন্দও করেছি। স্থানীয় নেতারা জানার পর এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন। আমি চুপচাপ আছি। এখন আমাদের কমিটি ঘোষণার কথা চলছে। আমি উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী। এ মুহূর্তে কেউ ষড়যন্ত্র করে আমার কাটছাঁট করা অডিও ভাইরাল করে দিয়েছে। আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন>>>চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কোপানো সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা অনুসন্ধান করছি। এভাবে টাকা দাবি করা অন্যায়।
যোগাযোগ করা হলে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুনুর রশিদ আজাদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এসব বিষয়ে খুবই কঠোর। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।