
ছবি : আপন দেশ
মূল ভূখণ্ডে যাতায়াতে পানি বা কাদা মাড়ানোর দুর্ভোগ সন্দ্বীপবাসীর দৈনন্দিন জীবনের অংশ। দুই পাড়ে যানবাহন সংকটের পাশাপাশি ঝড়-বৃষ্টি, জোয়ার-ভাটার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো রয়েছেই। দ্বীপবাসীর দুর্ভোগ কমাতে দেশের ইতিহাসে প্রথমবার সমুদ্রপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাটে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ফেরি চলাচলের উদ্বোধন করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীরপ্রতিক ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণাালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বাঁশবাড়িয়া থেকে ফেরিতে করে উপদেষ্টারা সন্দ্বীপে যাবেন। সেখানে সুধী সমাবেশ করা হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
সন্দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য মূল ভূখণ্ডে যাতায়াতে পানি, কাদা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের দুর্ভোগ নিত্যদিনের ঘটনা। ফেরি চালু হওয়ায় সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়ায় দিনে দুইবার যাতায়াত করা সম্ভব হবে, যা দ্বীপবাসীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম-পরিচালক সবুর খান জানান, ফেরি চলাচলের জন্য নতুন সড়ক, ফেরিঘাট ও পার্কিংসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। তবে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের কারণে বর্ষায় অবকাঠামো কতটা স্থায়ী হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। ফলে ফেরি চলাচল দ্বীপবাসীর জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করলেও, দীর্ঘমেয়াদে এটি কতটা কার্যকর হবে তা সময়ই বলে দেবে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।