Apan Desh | আপন দেশ

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৯:১১, ২৮ মার্চ ২০২৫

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি: আপন দেশ

নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ ইসমাঈল। আর সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রাজিবুল হাসান রাজিব। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৮ মার্চ) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার আইনজীবী অভিজিৎ শীল। গত ২০ মার্চ নোয়াখালী সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা নং-২২৮ দায়ের করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর মামলার বাদী সুলতানা রাবেয়া সদর উপজেলার দারুল আমান ফ্ল্যাট (উত্তর পাড়) জামে মসজিদ মার্কেটের ২ ও ৯নং দোকান ভাড়া নেন। প্রতিটি কক্ষের জামানত ৩ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই তারিখেই তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি সম্পাদিত হয়। বাদী সেখানে সাইনবোর্ড প্রিন্ট মেশিন স্থাপন করেন। ৯নং কক্ষ গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করেন। ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর মসজিদ কমিটির এক সভায় সকল দোকানের ভাড়া চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়।

কিছুদিন আগে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইসমাঈল স্বপ্রণোদিত হয়ে আগের মসজিদ কমিটি বাতিল করেন। নিজেকে সভাপতি ও সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রাজিবুল হাসান রাজিবকে সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করেন। 

অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা কিছু ভূমিগ্রাসী দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে লাভবান হয়ে বাদীসহ সকল ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করেন।

আরও পড়ুন>>>জামালপুর জনস্বাস্থ্যের কোটিপতি অফিস সহকারী হোয়াইট বাবু ছায়া নির্বাহী!

২০২৫ সালের ১৫ মার্চ বাদীকে নোটিশ না দিয়ে তাদের লোকজন নিয়ে দোকানে প্রবেশ করেন বিবাদীরা। সিসি ক্যামেরা ভেঙে বাদীসহ সকল দোকানের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে দেন। পরে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, পূর্বের ভাড়া চুক্তি বাতিল। জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নতুন করে দোকান নিতে চাইলে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সুবিধা দিতে হবে।

মামলার আইনজীবী অভিজিৎ শীল জানান, আদালত বিবাদীদের সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলেছেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ইসমাঈলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। মামলার আরেক বিবাদী রাজিবুল হাসান রাজিব বলেন, ভাড়াটিয়ারা বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি। মসজিদ কমিটির ব্যয়ের কোনো হিসাব নেই, দোকানদারদের কাছে ১৭ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। দুর্নীতির কারণে আগের কমিটি বাতিল করা হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, অনেক ভাড়াটিয়ার কাছে অনেক টাকা পাওনা আছে, তারা এতদিন ফ্রি ছিল। এর বেশি কিছু জানা নেই।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়