Apan Desh | আপন দেশ

লক্ষ্মীপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে কলেজছাত্রী

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:১৭, ৯ এপ্রিল ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে কলেজছাত্রী

যুবকের বাড়িতে তরুণী।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের মিঝিপাড়া গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন এক কলেজছাত্রী (২০)। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ওই তরুণী প্রেমিক রেদোয়ান হোসেন জিহাদের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন। তরুণীর অবস্থান দেখে প্রেমিকের বাড়ির সবাই ঘরে তালা দিয়ে সটকে পড়েছেন।

জানা গেছে, জিহাদ একই এলাকার মৃত আকরাম হোসেন সওদাগরের ছেলে। তরুণীও একই এলাকার বাসিন্দা। দু’জনের মধ্যে দীর্ঘ দেড় বছরের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে তরুণীর দাবি।

তরুণী জানায়, তারা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এমনকি ঈদের পর একসঙ্গে নোয়াখালী ঘুরতে গিয়ে সেখানেও তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়। সেখান থেকে ফিরে এসে তরুণীর সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে জিহাদ। এর প্রতিবাদে তার বাড়িতে এসে অবস্থান নেন তরুণী।

তবে জিহাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। বুধবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, প্রেমিকের ঘরের দরজায় তালা ঝুলছে। আর সেখানেই বসে আছেন তরুণী। বিষয়টি জানাজানি হলে আশপাশের মানুষজন ভিড় করতে থাকেন।

আরও পড়ুন>>>লিঙ্গ পরিবর্তনের চেষ্টাকালে ভারতে ৫ বাংলাদেশি গ্রেফতার

মঙ্গলবার সকালে জিহাদের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। এতে মেয়েটিকে মারধর করে ছেলের মা। একপর্যায়ে মেয়ের হাত থেকে ছেলের বন্ধুরা মোবাইল কেড়ে নিয়ে যান। জিহাদ দুইদিন ধরে পলাতক বলে জানিয়েছেন তরুণী।

তরুণীর দাবি, বিয়ে ছাড়া তার কাছে আর কোনো উপায় নেই। জিহাদের সঙ্গে তার দেড় বছরের সম্পর্ক। বিয়ে তাকে করতেই হবে। জিহাদ এখন পালিয়ে গেছে। সে তার মান-সম্মান নষ্ট করেছে, এজন্য জিহাদকে আমাকে বিয়ে করতেই হবে।

এদিকে জিহাদের পরিবারের দাবি, খালি বাসার সামনে এসে মেয়েটি অবস্থান নেন। তখন বাসায় কেউ ছিলেন না। পরিকল্পিতভাবে মেয়েটি মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।

বক্তব্য জানতে জিহাদের মোবাইলফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার বড় ভাই জামাল উদ্দিন বলেন, মেয়েটির আগে দুই বিয়ে হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমার ভাইয়ের সঙ্গে কিছুদিন হল তার সম্পর্ক হয়। এরমধ্যে পরিকল্পিতভাবে সে আমাদের বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছে। এর সঙ্গে তার মাসহ পরিবারের সদস্যরা জড়িত আছে।

তরুণীর ভাই রিয়াজ উদ্দিন ক্যামেরার সামনে কথা বলেননি, তবে তিনি জানিয়েছেন, সে আমাদের বোন ছিল। এখন সে আমাদের বোন না। তার ব্যাপারে আমরা কোনো কিছু জানি না।

কমলনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল হাসান বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের জানাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়