
ছবি: আপন দেশ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ক্লুলেস অটোরিকশা চালক বাবর হোসেন (১৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও ঘটনার মূলহোতাকে আটক করেছে র্যাব-১১।
নিহত বাবর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাইজদী পেট্রল পাম্প এলাকা থেকে মূলহোতা মনিরুল ইসলাম মামুনকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়।
মামুন নোয়াখালী পৌরসভার মধ্যম করিমপুর এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে বাবরের ব্যবহৃত মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি গেঞ্জি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অটোরিকশাটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরওপড়ুন<<>>বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে, নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন
র্যাব-জানায়, বুধবার (৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভাড়া নিয়ে যাওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হন অটোচালক বাবর। এরপর থেকে স্বজনেরা যোগাযোগ করেও বন্ধ পাচ্ছিলেন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। পরে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার কোম্পানিঘাট-সংলগ্ন স্লুইসগেট এলাকার একটি কবরস্থান থেকে বাবরের মরদেহের পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও অটোরিকশা উদ্ধার করা যায়নি। পরবর্তীতে এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে র্যাবের একাধিক টিম কাজ করে।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেফতারের পর মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এক পর্যায়ে হত্যাকান্ডে নিজে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানায়, সুদের টাকা পরিশোধের জন্য তার পরিচিত বাবরের অটোরিকশা বিক্রি করে টাকা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী তাকে নিয়ে দত্তেরহাট এসে জুসের সঙ্গে কৌশলে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে বিনোদপুর ইউনিয়নের জালিয়াল গ্রামের নির্জন বাগানে অটোরিকশা রেখে বাবরকে নিয়ে প্রথমে সোনাপুর যায়। এরপর সিএনজিযোগে পূর্বচর উড়িয়ার সুইসগেট সংলগ্ন কৃষি অফিসের সামনে সবজি বাগানে নিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে বাবরকে হত্যা করে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, ভিকটিমের স্যান্ডেল বাঁশ ঝাড়ের পাশে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লিলেন গেঞ্জি পাশের কলাবাগানে রেখে পালিয়ে যায়। হত্যাকারী নিজের সুদের টাকা পরিশোধের জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আসামির স্বীকারোক্তি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি হিসেবে রেকড প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়াও খোয়া যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধার ও সহযোগী আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।