
ছবি: আপন দেশ
কুড়িগ্রামে ছয় দফা দাবি আদায় ও কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে মিছিল করেছে কারিগরি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা এ মিছিল করে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের মারকাজ মসজিদ এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, জুনিয়র ইন্সট্রান্ডর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় হাইকোর্ট কর্তৃক বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর পদবি পরিবর্তন ও মামলার ফলে সংশ্লিষ্টদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করতে হবে। ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের নিয়োগ সম্পূর্ণভাবে বাতিল। এছাড়া বিতর্কিত সেই নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে।
ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে যেকোনো বয়সে ভর্তির সুযোগ বাতিল করতে হবে। উন্নত বিশ্বের আদলে চার বছর মেয়াদি মানসম্পন্ন কারিকুলাম নিশ্চিত করতে হবে। অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরবর্তী প্রবিধান থেকে পর্যায়ক্রমে সম্পূর্ণ ইংরেজি মাধ্যমে চালু করতে হবে।
তারা আরও জানান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) এর পদ চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। কিন্তু যেসব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিম্নস্থ পদে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কাফনের কাপড় বেঁধে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মিছিল
কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, সহকারী পরিচালক, বোর্ড চেয়ারম্যান, উপসচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল পদে কারিগরি শিক্ষা বহির্ভূত জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তা আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এ পদগুলোতে অনতিবিলম্বে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং সকল শুন্য পদে দক্ষ শিক্ষক ও ল্যাব সহকারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
কারিগরি শিক্ষায় বৈষম্য ও দুরাবস্থা দূর করার পাশাপাশি দক্ষ জনসম্পদ তৈরিতে ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ নামে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক ইন্সটিটিউট হতে পাসকৃত শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগের লক্ষ্যে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি ও ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক হতে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের জন অস্থায়ী ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে। ডুয়েটের আওতাভুক্ত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আগামী সেশন থেকে শতভাগ সিটে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।
কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থী মো. কামরুজ্জামান আলভী, আরিফ হাসান ও সিফাত জানান, অবিলম্বে আমাদের ঘোষিত দাবিগুলো মেনে নেয়া না হলে আরও কঠিন আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
আপন দেশ/এমএস
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।