Apan Desh | আপন দেশ

গণঅভূত্থানে শহীদ রিপনের মরদেহ উত্তোলনে বাঁধা, ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট!

জামালপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ২২ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১৯:২৯, ২২ এপ্রিল ২০২৫

গণঅভূত্থানে শহীদ রিপনের মরদেহ উত্তোলনে বাঁধা, ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট!

প্রতীকী ছবি

জুলাই বিপ্লবে শহীদ জামালপুরের বকশীগঞ্জের শহীদ রিপন মিয়ার মরদেহ উত্তোলনে বাঁধা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়নের পানাতিয়া গ্রামে আদালতের নির্দেশে মরদেহ তুলতে যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় রিপনের বড় ভাই মামলার বাদী সরকার আকতার হোসেন মরদেহ উত্তোলনে বাঁধা দেন। পরে বাঁধার মুখে মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা জানান, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আমরা রিপন মিয়ার মরদেহ উত্তোলন করতে এসেছিলাম। কিন্তু রিপনের বড় ভাই ও মামলার বাদী সরকার আকতার হোসেন এতে বাঁধা দেন। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের পরবর্তী নির্দেশের পর কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

আরওপড়ুন<<>>আমরা চাই দ্রুত সংস্কার শেষে নির্বাচন হোক: শামসুজ্জামান দুদু

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খাইরুল ইসলাম জানান, জুলাই বিপ্লবে শহীদ রিপনকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। তাই বিজ্ঞ আদালতে মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করা হলে গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট রিপনের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা মরদেহ উত্তোলন করতে আসি।

রিপনের বড় ভাই সরকার আকতার হোসেন জানান, রিপন গুলি খেয়ে মারা গেছে, এর প্রমাণ আছে। মরদেহ উত্তোলনের ব্যাপারে আমাকে আগে কিছুই বলা হয়নি। তাই বাঁধা দেয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় জুলাই বিপ্লবে অংশ নিয়ে গুলিতে মারা যান বকশীগঞ্জ উপজেলার চরকাউরিয়া সীমারপাড় এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে রিপন মিয়া। পরে উত্তরা পূর্ব থানায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন রিপনের বড় ভাই সরকার আকতার হোসেন।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়