
ছবি : আপন দেশ
লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রামে পুকুরে ডুবে যাওয়ার ৬ ঘণ্টা পর এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। নিহত শিশুটির নাম মিরাজ (৯)। সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কিসামত নগরবন্দ এলাকার গোলাম মোস্তফার একমাত্র সন্তান।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কিসামত নগরবন্দ এলাকার বালারদিঘি পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীনা জানায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শিশু মিরাজ তার দাদা আফজাল হোসেনের সঙ্গে গরুর ঘাস ধোয়ার জন্য ওই পুকুরে যায়। দাদা ঘাস ধুয়ে বাড়িতে নিয়ে গেলেও পুকুরের কিনারায় পানি নিয়ে খেলতে থাকে মিরাজ। দাদা আফজাল নাতি মিরাজ তার সঙ্গে বাড়িতে না আসায় নাতিকে খুঁজতে আবার পুকুর পাড়ে যান। কিন্তু পুকুর পাড়ে নাতি মিরাজকে আর দেখতে পাননা। তখন তিনি নিশ্চিত হোন তার নাতি পুকুরে ডুবে গেছে। পরে তার চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসে এবং থানা ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। পরে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে যায় এবং পুকুরের গভীরতা ৩০/৩৫ ফুট হওয়ায় রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি নিয়ে আসে। ডুবুরি দলের সদস্যরা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিশু মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সম্পর্কে শিশু মিরাজ তার নাতি হয়। মিরাজ তার দাদার সঙ্গেই গরুর ঘাস ধুইতে গেছিল ওই পুকুরে। পরে তার দাদা ঘাস ধুইয়ে বাড়িতে নিয়ে গেলেও মিরাজ বাড়িতে আসতে পারে নাই। সে পুকুরেই ডুবে যায় এবং ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে।
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্য আসাদ জানান, লালমনিরহাট ফায়ার স্টেশনের ডাকে আমরা ডুবুরি দলের সদস্যরা দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। পুকুরের পানির গভীরতা ৩০/৩৫ ফুট হওয়ায় উদ্ধার অভিযানে আমাদের একটু বেগ পেতে হয়। প্রায় সাড়ে ৪ঘণ্টা পর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মোহাম্মদ নুরনবী জানান, কুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।