ছবি: আপন দেশ
স্বামী তারাবিহ নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাড়িতে কেউ না। এ সুযোগে মাটির দোতলার জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে ভাতিজার স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী চাচা। ওই নারী দুই সন্তানের মা। ধর্ষক চাচা শ্বশুরের নাম জামাল মোল্লার (৪৪)। নওগাঁর রানীনগর উপজেলার উজালপুর গ্রামের আবুল খোড়ার ছেলে মামাল মোল্লা।
রোববার (৯ এপ্রিল) আদালতে চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই নারী।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাতের এই ঘটনায় স্থানীয় মাতব্বরা ভুক্তভোগী পরিবারকে সুষ্ঠ বিচার করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারে তালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাও চালায় মাতব্বরা। গ্রাম্য বিচার বঞ্চিত হয়ে ঘটনার ৫দিন পর রোববার (৯ এপ্রিল) ভুক্তভোগী বাদি হয়ে নওগাঁ আদালতে জামালের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত জামাল মোল্লা ওই গ্রামের আবুল খোড়ার ছেলে।
ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ জানান, ওই দিন রাতে স্বামী ও সন্তান মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে যান। এ সময় আমিও নামাজ আদায় করে বাড়ির দরজা লাগিয়ে দিয়ে নিজ ঘরে গিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম। কেবলমাত্র চোখে ঘুম এসেছে। এ মতাবস্থায় প্রতিবেশী চাচা শ্বশুর জামাল বাড়ির দোতলার জানালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় আমি নিজের উজ্জত বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারিনি।
ওই গৃহবধূর স্বামী জানান, ঘটনার পর সমাজের মাতব্বরদের কাছে বিচার চেয়েছিলাম। তারা সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিলেও পরে তালবাহানা শুরু করেন। এরপর ঘটনাটি নিয়ে থানায় মামলা করতে চাইলেও তারা যেতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে ঘটনার ৫ দিন পর আদালতে গিয়ে আমার স্ত্রী মামলা করেছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি আমার জানা ছিলনা। এক মাধ্যমে জানতে পেরে ভুক্তভোগীর বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারেন তারা আদালতে মামলা করেছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আদালত থেকে থানায় এ ঘটনায় কোন মামলার কপি বা তদন্তের নির্দেশ আসেনি। থানায় আসলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
