মো. শাওন মৃধা।
চুরির মামলায় মোকামিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি কারাগারে। বরগুনার বেতাগীতে সরকারি সেতুর মালামাল চুরির সাথে জড়িত ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. শাওন মৃধা। তিনি মোকামিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বাবুল মৃধার ছেলে।
শুক্রবার ( ১৪ এপ্রিল) তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাপধ্যমে কারাগারে পঠোনো হয়। আপন দেশ’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে মোকামিয়া এলাকার নিজ বাসা থেকে শাওনকে এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মোকামিয়া ইউনিয়নের পুরোনো একটি সেতুর মালামাল চুরির ঘটনায় মোকামিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জালাল আহমেদ একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শাওনসহ এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। তাদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। মালামাল চুরির সঙ্গে জড়িত প্রমাণ মেলায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
মোকামিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জালাল আহমেদ বলেন, বুধবার সকালে মোকামিয়া বাজারের নৈশপ্রহরী জানায় বাজারের পুরোনো একটি সেতুর ১৪টি বীম চুরি হয়ে যায়। আমি চুরির ঘটনাটি থানায় জানিয়েছি। এ ঘটনায় কয়েকজনকে পুলিশ আটক করেছে। এরপরের অংশ আমার জানা নেই।
এদিকে কারাগারে প্রেরণ করা ছাত্রলীগ নেতার বাবা বাবুল মৃধার দাবি, রাজনৈতিক বিরোধের জেরে তার ছেলের নামে মালামাল চুরির মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে পুলিশে দিয়েছেন মোকামিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জালাল আহমেদ।
তিনি বলেন, মোমামিয়ার এক বাড়ি থেকে কিছুদিন আগে ১০০ বস্তা ভিজিএফ চাল উদ্ধার করে প্রশাসন। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান জালাল গাজীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। চেয়ারম্যান এজন্য আমাকে দায়ী করে আসছে। মূলত রাজনৈতিক এই বিরোধের জন্যই তিনি মালামাল চুরির মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে পুলিশ দিয়ে আমার ছেলেকে গ্রেফতার করিয়েছে।
এদিকে চুরির বিষয়টি আটক ছাত্রলীগ নেতা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সুহৃদ সালেহীন।
তিনি বলেন, আটক দুজন স্বীকার করেছেন তারা মালামাল চুরির সঙ্গে জড়িত। তারা চুরিকৃত মালামাল বরিশালে বিক্রি করেছেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।