ছবি : আপন দেশ
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলবর্তী কক্সবাজার জেলার আট উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ঝড়ের প্রভাবের শিকার হয়েছে প্রায় তিন লাখ ৩৪ হাজার মানুষ।
রোববার ( ১৪ মে) সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করে কক্সবাজার জেলা শহর, টেকনাফ উপজেলা ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং অন্যান্য উপজেলায়। দুপুরের দিকে বৃষ্টি ও বাতাসের বেগ বাড়তে থাকে। বিকাল ৪টার পর উপকূল সংলগ্ন এলাকায় তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
টানা এক ঘণ্টার বেশি প্রচণ্ড বাতাস ও বৃষ্টির পর আবহাওয়া ধীরে ধীরে শান্ত হতে থাকে। বিকাল ৫টার পর বিভিন্ন উপজেলা থেকে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে তথ্য আসতে থাকে।
জেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে প্রচুর। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টিনের ও কাঁচা ঘরবাড়ি। টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। তবে জেলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান বিভীষণ কান্তি দাশ সাংবাদিকদের বলেন, জেলার ৫৭টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার ৪৬৯টি বাড়ি আংশিক এবং ২০২২টি ঝুপড়ি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসের পর জেলায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ২ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নেয়। তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা ছিল বলে জানান নিয়ন্ত্রণ কক্ষের প্রধান।
এ দিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সহস্রাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুল ইসলাম সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা স্থানীয় মেম্বার ও লোকজনের কাছ থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিচ্ছি। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা উপড়ে গেছে, ঘরবাড়ি ভেঙে মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”
টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেকের কাঁচা ঘরবাড়ির উপর এসব গাছ পড়ে ক্ষতি হয়েছে। বাজারে দোকানপাটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।