ছবি : সংগৃহীত
নাদিয়া নুসরাত। চট্রগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ছাত্রদল নেত্রী তিনি। এসেছিলেন বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিএনপি আয়োজিত মিরসরাইয়ের তারুণ্যের সমাবেশে।
সমাবেশে শেষে ফিরছিলেন বাড়ীতে। মিরসরাই ইছাখালী শাহাজীবাজার এলাকায় গেলে পাবেল ও কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার পথরোধ করে। তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফার ছেলে পাবেল। কামরুল তার সহযোগি।
শনিবার (১৭ জুন) গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যাল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অভিযোগে যানা যায়, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে সিএনজিতেই নাদিয়ার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। এরপর পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রেখে বৃহস্পতিবার রাতভর শারীরিক নির্যাতন চালায়। গণধর্ষণের চেষ্টাও করা হয়। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য মেয়েটি বার বার জোরারগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হোসেনের সঙ্গে এই লোমহর্ষক ঘটনার বিবরণ দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ নাদিয়াকে সহযোগিতার বদলে উল্টো বিস্ফোরক মামলায় দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। শনিবার নাদিয়াকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে শনিবার (১৭ জুন) দুপুর ১টার দিকে ইনচার্জ জাহিদ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে আলাপ করলে কোন ধরনের মন্তব্য না করে তিনি লাইন কেটে দেন। পরবর্তীতে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি আর ফোন রিসিভি করেন নি।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।