Apan Desh | আপন দেশ

পটুয়াখালী ওসির বিরুদ্ধে তরুণীকে ১৩ ঘণ্টা আটক রাখার অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৪৭, ১৭ জুন ২০২৩

আপডেট: ১৭:২৬, ১৭ জুন ২০২৩

পটুয়াখালী ওসির বিরুদ্ধে তরুণীকে ১৩ ঘণ্টা আটক রাখার অভিযোগ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে

ফাইল ছবি

আইনী সহায়তা পেতে থানায় গিয়েছিল তরুণী। সেবার বদলে দিনভর আটকে রেখেছেন ওসি মনিরুজ্জামান। শুধু ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত । পটুয়াখালী সদর থানার। দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা আটকে রেখে মুক্তি দেবার সময় সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখেছেন ওসি। 

ওই তরুণী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইজিপির সিকিউরিটি সেলে লিখিত অভিযোগে এসব উল্লেখ করেছেন। অভিযোগের কপি বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজিকেও দেয়া হয়েছে। ভিকটিম গাজীপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এরপূর্বে এক ভিকটিম পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ ধাপাচাপা দেন এই ওসি। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন দেয়া এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠান এই ওসি। এ ঘটনায় ওসির রিুদ্ধে সুয়োমোটো রুল দিয়েছে হাইকোর্ট।

অভিযোগে ভিকটিম বলেন, গত ৭ জুন ব্যক্তিগত কারণে ঢাকা থেকে পরিবহন যোগে তিনি পটুয়াখালীতে পৌঁছান। ওই দিন ভোরে তিনি পটুয়াখালী শহরের চৌরাস্তা চত্বরে নামেন গাড়ি থেকে। এরপর রাস্তায় হাটতে থাকলে কয়েকজন বখাটের তার পিছু নেয়। 

( আইনি বিধানমতে অভিযোগকারীর নাম ও ফোন নম্বর প্রকাশ করা হলো না ) 

এতে তিনি ভীত হয়ে জাতয়ি জরুরী পরিষেবা ৯৯৯ নাম্বারে কল করেন। এর কিছুক্ষণ পরে ফয়সাল নামে থানার এক পুলিশ সদস্য ওই তরুণীকে উদ্ধার করে অটোরিকশায় করে তাকে সদর থানায় নিয়ে যান। থানায় নেয়ার পর ওই তরুনীকে থানার নারী শিশু হেল্প ডেস্কে বসতে বলা হয়। পরে ওসি মনিরুজ্জামান থানায় আসলে ওই ভিকটিমকে ওসির কক্ষে ডাকা হয়। তরুণী ওসির কাছে তার ব্যক্তিগত সমস্যা খুলে বলেন। আইনী সহায়তা চান। ভিকটিমের কথা শোনার পর তাকে পুনরায় নারী শিশু হেল্প ডেস্কে নিয়ে যান মহিলা পুলিশ সদস্যরা। দুপুরের দিকে তরুণীকে উত্যক্ত করা সেই বখাটেরা থানায় হাজির হন। যা নারী হেল্প ডেস্কের জানালা দিয়ে দেখেন ভিকটিম। এর কিছুক্ষণ পর ওসি মনিরুজ্জামান মহিলা পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি চেয়ে নেন। এর এক ঘন্টা পর মোবাইল ফোনটি ভিকটিমকে ফেরত দেয়া হয়। মোবাইল ফোন হাতে পেয়ে ভিকটিম দেখতে পান মোবাইলে সংরক্ষিত সকল তথ্য-উপাত্ত মুছে দেয়া হয়েছে। এরপর ভিকটিম ওসি কাছে মোবাইল ফোনের তথ্য-উপত্ত মুছে দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে ওসি তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং শাসান।

অভিযোগে ভিকটিম আরও বলেন তিনি বুঝতে পারেন ওসি ও দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট পুলিশ তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। যে কারণে তিনি পটুয়াখালী থানা পুলিশ থেকে কোন সহয়তা পাবেন না। পরে অবস্থা বেগতি দেখে কোন অভিযোগ না করে এবং তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য ওসির কাছে অনুরোধ করেন। এসময় ওসি সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে সরাসরি ঢাকায় যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে তরুণীকে ছেড়ে দেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ওসি মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি আপন দেশকে বলেন, পটুয়াখালী থানায় এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।  

আপন দেশ/প্রতিনিধি/এবি
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়