ছবি : আপন দেশ
ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়া শামসুন নাহার (৪৫) গার্মেন্টস কর্মী নিহত হয়েছেন। রোববার (১৮ জুন) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
ভালুকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসে জানান, ১৬ জুন শুক্রবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরের রিদিশা গার্মেন্টস থেকে কাজ শেষে মিনিবাসে বাসায় ফিরছিলেন ওই নারী। পথে ভালুকা সিডস্টোর এলাকায় বাস খালি হয়ে যায়। এ সময় ওই নারী একা থাকায় চলন্ত বাসে ধর্ষণের চেষ্টা চালান চালক ও দুই সহকারী। এতে নিজেকে বাঁচানোর জন্য প্রতিরোধের চেষ্টা করলে একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা প্রথমে তাকে মারধর করেন, এরপর চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন।
পরে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে ভালুকা সিডস্টোরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি ও পরে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার (১৭ জুন) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত অবস্থার শামসুন নাহারকে প্রথমে সার্জারি ওয়ার্ড ও পরবর্তীতে নিউরোসার্জারি বিভাগ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
ঘটনার পরপরই বিশেষ অভিযান চালিয়ে চালক রাকিব (২১), সহকারী আরিফ (২০) ও সুপারভাইজার আনন্দ দাসকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আপন দেশ/প্রতিনিধি/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।