ছবি : সংগৃহীত
রাজশাহী সিটি নির্বাচনের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় একপক্ষ আরেকপক্ষের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছেন। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকের প্রার্থী রহুল আমিন টুনু এবং র্যাকেট প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বাবুর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। রুহুল আমিন ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এখন তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে জানা গেছে। আশরাফুল ইসলাম ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে ভোটকেন্দ্রের সামনে দুইপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আশরাফুল ইসলামের লোকজন রুহুল আমিনের সমর্থকদের ধাওয়া দেন। এ সময় রুহুল আমিনের লোকজন ইটপাটকেল ছুড়ে। সংঘর্ষের সময় দুইপক্ষেরই নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে।
সংঘর্ষের কারণে কিছু সময়ের জন্য ভোটকেন্দ্র ফাঁকা হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলে ভোটাররা ধীরে ধীরে কেন্দ্রে ফিরে আসেন।
রুহুল আমিন টুনু বলেন, টিফিন ক্যারিয়ারের পক্ষে জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে দেখে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মানতে পারছেন না। তারা ভোটকেন্দ্রে এসে আমার ভোটারদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন। একজন পোলিং এজেন্টকেও বের করে দেয়া হয়। এরপর তারা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমার স্ত্রী বেবী আহত হয়েছেন।
কথা বলার জন্য প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বাবুকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। তার ভাই মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, রুহুল আমিন টুনুর লোকজন আমাদের ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন। এর প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের দুটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছে। পদ্মার বাঁধের ধারে আমাদের সমর্থকদের বাড়িতেও হামলা করা হয়েছে। একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলায় আমাদের পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বিবেকানন্দ বিশ্বাস বলেন, ভোটকেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ভোটগ্রহণে কোন ঝামেলা হয়নি।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে গণনা চলছে। রাসিক সিটির ৩০টি ওয়ার্ডের ১৫৫টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে তিনজন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া ১১২ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ৪৬ জন সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী আছেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।