ফাইল ছবি
ঝালকাঠির রাজাপুরে ঘটকের ধর্ষণে ১৩ বছর বয়সি অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ওই ছাত্রী অন্যত্র বিয়ে হলে বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে ফিরিয়ে দিয়ে গেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর নানা বাদী হয়ে অভিযুক্তকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্তর নাম মো. হালিম সিকদার (৪৫)। তিনি উপজেলার চাড়াখালি গ্রামের মৃত আজিজ সিকদারের ছেলে। অভিযুক্ত হালিম সিকদার পলাতক রয়েছে।
মামলায় জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে তারা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে বিবাহে আবদ্ধ হয়। সেই থেকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর তার নানা বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। অভিযুক্ত হালিম সিকদারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে গত ২৪ এপ্রিল উপজেলা কৈবর্তখালীর হারুন হাওলাদারের ছেলে নুরু জামানের সঙ্গে বিয়ে হয় ভুক্তভোগীর।
২৬ জুন নুর জামাল তার স্ত্রী ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর নানা বাড়ি রেখে গিয়ে জানায়- তাদের নাতনি অন্তঃসত্ত্বা। ওই গর্ভের সন্তানের বাবা নুরু জামাল নয়। বিয়ের আগেই তাদের নাতনি গর্ভবতী হয়েছে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার নানা জানতে পারে নাতনির বিবাহের ঘটক হালিম সিকদার গত ১৫ এপ্রিল তাদের বাড়িতে এসে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে হালিম সিকদার ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। ডাক্তারি পরীক্ষা (আল্ট্রাসনোগ্রাম) করে জানা গেছে বর্তমানে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর গর্ভের বয়স ১০ সপ্তাহ।
রাজাপুর থানা ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার তার জবানবন্দি রেকর্ড করতে ঝালকাঠি আদালতে পাঠানো হবে। আসামি গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।