ছবি : আপন দেশ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন শাহেদের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কাউন্সিলর ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
এ সময় হামলাকারীরা ছাত্রদল নেতা শাহেদের বড় ভাই বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মোশারেফ হোসেন নাহিদের বসত ঘরও ভাংচুর করে।
আরও পড়ুন: সেনবাগে কবিরাজের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
সোমবার (৩ জুলাই) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের রামদি এলাকায় ছাত্রদল নেতা শাহেদের বাড়িতে এই হামলাও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা শাহেদ অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাত ১০টার বসুরহাট পৌরসভা ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী ২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হোসেন আরজুর নেতৃত্বে আমাদের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্লোগান দেয়। এরপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাদের তিনটি বসত ঘরে ব্যাপক ভাংচুর করে। এর মধ্যে আমার বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক কাউন্সিলর মোশারেফ হোসেন নাহিদের বসত ঘরও ভাংচুর করে তারা।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
শাহেদ অভিযোগ করে আরও বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাদের বাড়ির সামনে অবস্থান নিলে আমি স্থানীয় কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আরজুকে একাধিকবার ফোন করি। কিন্ত তিনি আমার ফোন ধরেননি। পরে জানতে পারি কাউন্সিলর আরজুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এই হামলা চালিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর আবুল হোসেন আরজু দাবি করেন, তিনি গতকাল এলাকায় ছিলেন না। তাদের অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা বানোয়াট।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। সেখানে স্থানীয় কিছু জটিলতা হয়েছে। বিষয়টি তিনি দেখছেন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, ওদের পারিবারিক ঝামেলা আছে। হামলা ভাংচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপন দেশ/প্রতিনিধি/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।