পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা
এবার পদ্মা সেতুতে ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) কার্যক্রম চালু হয়েছে। বুধবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজায় তৈরি স্মার্ট বুথে পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পদ্ধতিতে সেতুর দুই প্রান্তে একটি করে লেনে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) কার্ড থাকবে। যরি মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় হবে। প্রয়োজন হবে না ক্যাশ লেনদেন, থামতে হবে না টোল প্লাজায়। নিবন্ধন করা যে কোনো যানবাহন টোল প্লাজার সামনে এলে ক্যামেরার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় হবে। তিন-চার সেকেন্ডের মধ্যে টোল দিয়ে গাড়ি সেতুতে উঠে যাবে। প্রাথমিকভাবে সেতু দেখভালের দায়িত্বে থাকা কোরিয়ান কোম্পানি কেইসির গাড়িগুলো এ পদ্ধতিতে টোল পরিশোধ করে সেতু পারাপার হবে। এটা সফল হলে আগামী তিন মাসের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মঙ্গলবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে এই পদ্ধতিতে টোল আদায় শুরু হয়েছে। তবে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি উদ্বোধন করেছেন। এই পদ্ধতি সফল হলে পদ্মা সেতুতে এখন থেকে টোল আদায় আরও দ্রুত ও সহজ হবে।
তিনি আরও বলেন, এই পদ্ধতিতে টোল আদায়ে কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশনের জন্য মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উত্তর থানার কাছে কাউন্টার চালু করা হয়েছে। কার্ড ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান একপের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা এ পদ্ধতির সুবিধা সহজে পেতে মোবাইল ফোনে কীভাবে নিবন্ধন করা যায়, সেটি নিয়েও কাজ করছি। এ ছাড়াও কোন ব্যাংক পদ্ধতিতে টোল আদায় হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, যানবাহনের সামনে ড্যাশবোর্ড থাকবে। আরএফআইডি নম্বর সংযুক্ত হবে ব্যাংক হিসাবে। এই আইডিতে অগ্রিম টাকাও রিচার্জ করা থাকবে। গাড়ি আসামাত্র তার ধরন অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট থেকে টোলের টাকা কেটে নেবে।
টোল আদায় প্রক্রিয়াকে আধুনিক করার লক্ষ্যে মাওয়া প্রান্তের ১ নম্বর বুথে শুধু ইটিসি এবং ২ নম্বর বুথে ইটিসি, টাচ অ্যান্ড গো এবং রসিদের মাধ্যমে নগদ টাকা পদ্ধতি থাকবে। আর ৩ থেকে ৭ নম্বর বুথে টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ পদ্ধতিতে টোল আদায় চলবে। মোটরসাইকেলসহ সব যানবাহন এ পদ্ধতিতে মাওয়া এবং জাজিরা প্রান্তে এই পদ্ধতিতে টোল পরিশোধ করবে। যাদের ইটিসি এবং টাচ অ্যান্ড গো পদ্ধতির রেজিস্ট্রেশন থাকবে না, তারাও খুব সহজে নগদ টাকায় টোল দিতে পারবেন। টোল গ্রহণের ক্ষেত্রে এখন থেকে টোলবুথের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের, কোনো গাড়ির জন্য কত টাকা দিতে হবে, সেটা আর চাইতে হচ্ছে না। গাড়ি টোলপ্লাজায় আসার পর টোল প্লাজার স্বয়ংক্রিয় নম্বার প্লেট গাড়ির টোল নির্ধারণ করছে। কম্পিউটারে টোলের পরিমাণ দেখাচ্ছে। ফলে আদায়কারীরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে টোল আদায় করতে পারছেন।
আপন দেশ/এমএমজেড
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।