ফাইল ছবি
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএনের সঙ্গে গোলাগুলিতে আরসার এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১০ জুলাই) ভোরে উখিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে এ ঘটনা ঘটে বলে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ছৈয়দ হারুন অর রশীদ জানান।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গুলি, অস্ত্র, ওয়াকিটকি, মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড।
এপিবিএন বলছে, নিহত হোসেন আহমেদ ওরফে হোসেন মাঝি (৪১) মিয়ানমারের সশস্ত্র দল আরসার শীর্ষ কমান্ডার। তার বিরুদ্ধে উখিয়া ও টেকনাফ থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা আছে।
গত শুক্রবার ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আট (পূর্ব) নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা ও আরএসও’র মধ্যে গোলাগুলিতে আরসার পাঁচ সদস্য নিহত হন। খবর পেয়ে এপিবিএনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করে এপিবিএন। তাদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও একটি গুলি জব্দ করা হয়।
ছৈয়দ হারুন অর রশীদ বলেন, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় মিয়ানমারের সশস্ত্র দল আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসা ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন-আরএসও’র মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ইদানিং বেড়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে এপিবিএন বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ভোরে উখিয়ার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে এপিবিএন এর টহল দলকে লক্ষ্য করে আরসার সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে তারাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে আরসা সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হোসেন মাঝির মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় বেশ কয়েকটি বন্দুক, গুলি, ওয়াকিটকি, মোবাইল ফোন সেট ও সিমকার্ড।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে এপিবিএনের এডিআইজি হারুন অর রশিদ বলেন, ঘটনায় জড়িত অন্য সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।