মুন্সিগঞ্জে ট্রলার ডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮, নিখোঁজ ৬

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের একটি ট্রলার ডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে পৌঁছেছে। শনিবার (৫ আগস্ট) রাত আটটার দিকে লৌহজং উপজেলার তালতলা-গৌরগঞ্জ খালের রসকাঠি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার সময় ট্রলারটিতে মোট ৪৬ জন যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আর ৮ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। ফলে এখনো অন্তত ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

তবে, তাৎক্ষণিকভাবে মৃত ব্যক্তিদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তাদের মধ্যে দুজন নারী, দুটি ছেলেশিশু এবং বাকি চারজন কিশোর থেকে তরুণ বয়সী। গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন লৌহজং ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা কায়েস আহম্মেদ।

রাত ১২টার পর কায়েস আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, রাত ৮টার দিকে তারা দুর্ঘটনার খবর পান। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, স্থানীয় লোকজন চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। তারা গিয়ে রাত ৯টার দিকে আরও একজনের মেদেহ উদ্ধার করেন। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরও তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়। দুর্ঘটনা কবলিত  ট্রলারটিতে মোট ৪৬ জন ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরের পর সিরাজদিখান উপজেলার লতাব্দি ইউনিয়ন থেকে নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজন ট্রলারে করে পদ্মা নদীতে পিকনিকে যান। পিকনিক শেষে ট্রলারটি তালতলা-গৌরগঞ্জ খাল দিয়ে লতাব্দির দিকে যাচ্ছিল। রাত আটটার দিকে ট্রলারটি লৌহজংয়ের রসকাঠি এলাকায় পৌঁছালে একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তলিয়ে যায়।

সবুজ মিয়া নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, দেখছিলাম ট্রলারটি সিরাজদিখানের দিকে যাচ্ছিল। কিছুক্ষণ পর খুব জোরে শব্দ পাই। এরপর মানুষের চিৎকার-কান্নাকাটি শুনে দৌড়ে খাল পাড়ে গিয়ে দেখি ট্রলারটি ডুবে গেছে। তখন  সেখান থেকে তাৎক্ষণিক কয়েকজনকে উদ্ধার করি।

মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, নিহতরা সবাই লতাব্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ চলছে। বাল্কহেডটি জব্দ করা গেলেও চালকসহ বাকিরা পলাতক। পুলিশ তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।

এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আরাকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আপন দেশ/এমএমজেড