প্রতীকী ছবি
পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান কিশোরী। সেই কিশোরীকেই পুরুষ সেজে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করেন এক তরুণী। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করা হলেও প্রাণ বাঁচানো যায়নি। বিষ খাওয়ানো হয়েছিল তাকে।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমানে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম গীতা দাস। ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটিকে পাচারের পরিকল্পনা ছিল গীতার।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সপ্তাহ খানেক আগে ভাতারের খেড়ুর গ্রাম থেকে ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়। খোঁজ না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় অপহরণের অভিযোগ করে। তারা জানায়, তাদের মেয়েকে এক যুবক অপহরণ করেছে।
প্রথম দিকে পুলিশেরও তেমন ধারণাই ছিল। ভেবেছিল প্রেমের ফাঁদে ফেলে কোনো যুবক কিশোরীকে অপহরণ করেন। কিন্তু তদন্তে নেমে জানা যায় গীতাই পুরুষ সেজে কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করেন। গীতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরীর বাবা বলেন, মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করে আনার পর থেকেই সে অসুস্থ ছিল। প্রথমে তাকে ভাতার হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করাই। তখনই চিকিৎসকেরা জানান আমার মেয়েকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে, পুলিশ উদ্ধার করার আগেই গীতা জোর করে তাকে ঠাণ্ডা পানীয় খাইয়েছিল। তাতে কিছু মেশানোও ছিল।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।