ছবি: সংগৃহীত
ন্যাশনাল ব্যাংকের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে প্রায় শতকোটি টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ব্যাংকের দুই পরিচালক ও সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
সোমবার (১ এপ্রিল) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
আসামিরা হলেন- সিকদার রিয়েল এস্টেটের মালিক রিক হক সিকদার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক এমডি শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত এমডি এম এ ওয়াদুদ ও এ এস এম বুলবুল।
এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের অতিরিক্ত ২৬ লাখ ২২ হাজার ৪৯৯ ডলার বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করেন।
আরও পড়ুন>> এনবিআর কর্মকর্তা জিয়াউল দম্পতি দুদকের জালে
আরেকটি মামলার আসামিরা হলেন- ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক রণ হক সিকদার, সাবেক এমডি শাহ সৈয়দ আব্দুল বারী ও চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ড ডিভিশন মো. মাহফুজুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত এমডি এম এ ওয়াদুদ ও সাবেক অতিরিক্ত এমডি এ এস এম বুলবুল।
এ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে ক্রেডিট কার্ডের লিমিটের অতিরিক্ত ৬০ লাখ ৯২ হাজার ২২৫ ডলার (প্রায় ৫০ কোটি টাকা; ২০১৭ সালের রেট অনুযায়ী) বিদেশে ব্যয় করে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করে তা দিয়ে ওই ক্রেডিট কার্ডের ঋণ পরিশোধপূর্বক পাচার করা অর্থ হস্তান্তর/স্থানান্তর, রূপান্তর ও গোপনের মাধ্যমে বৈধতা দানের চেষ্টা করেছে আসামিরা।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আপন দেশ/এবি/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।