ছবি: সংগৃহীত
২০০৪ সালের ৯ মে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজনৈতিক প্রভাবের ঊর্ধ্বে গিয়ে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করাই ছিল লক্ষ্য। তবে এ সংস্থাটির কার্যক্রম নিয়ে গত দুই দশক ধরেই নাগরিক সমাজে সমালোচনা অব্যাহত। বিশেষত, দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদকের কার্যক্রম অনেকটাই একমুখী বলে অভিযোগ বিশিষ্ট নাগরিকদেরা।
তাদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুদকের কার্যক্রম অনেকটাই ‘রাজনৈতিকভাবে’ প্রভাবিত। ‘কথিত সরকারবিরোধী’ হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের মামলার ক্ষেত্রে দুদকের আচরণ অনেকটাই একপাক্ষিক। এক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে দুদকের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট, ‘ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালীদের’ ক্ষেত্রে দুদক নমনীয়তা দেখিয়ে আসছে।
অন্যদিকে যাদের সঙ্গে ‘সরকারপক্ষের সদ্ভাব’ নেই, তাদের মামলাগুলো সচল থাকে নিয়মিত। এক্ষেত্রে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলাটি উল্লেখযোগ্য। সব মিলিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারিসহ ১৪০টির মতো মামলা চলমান। এ তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন।
২০২৩ সালে দুদকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমিশনে ১৫ হাজার ৪৩৭টি অভিযোগ জমা পড়ে। এসব অভিযোগের মধ্যে ৮৪৫টি অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করা হয়; যা শতাংশের হিসাবে মাত্র ৫.৪৮। বাকি ৯৪.৫২ শতাংশ অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত না হওয়ায় আমলে নেয়া হয়নি। দুদকের তফসিলভুক্ত না হওয়ায় ৯১৩টি অভিযোগের বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৩৪১টি মামলা আদালতে নিষ্পত্তি হয়েছে।
৬২.৩০ শতাংশ মামলায় আসামির সাজা ও ৩৭.৭০ শতাংশ মামলায় আসামি খালাস পেয়েছে। ১ হাজার ৬৮৩ কোটি ৬৭ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪৬ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ১৭ কোটি ৯৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। একইভাবে ২০২২ সালে ১৯ হাজার ৩৩৮টি অভিযোগ আসে।
বিএনপির নেতার মামলা সচল, আওয়ামী লীগের স্থবির
২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারি ‘অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ (ওসিসিআরপি)-এর ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের এমপি মো. আবদুস সোবহান গোলাপ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে একাধিক বাড়ি কিনেছেন। গোলাপ ২০১৪ সালে প্রথম নিউইয়র্কে অ্যাপার্টমেন্ট কেনা শুরু করেন। পরের পাঁচ বছরে তিনি নিউইয়র্কে মোট ৯টি প্রপার্টির (ফ্ল্যাট বা বাড়ি) মালিক হন। এসব সম্পত্তির মূল্য ৪০ লাখ ডলারের বেশি।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে আবদুস সোবহান জ্যাকসন হাইটসের একটি আলিশান ভবনে পাঁচটি কনডোমিনিয়াম কিনেছিলেন। তৎকালীন সময়ে যার দাম ছিল প্রায় ২.৪ মিলিয়ন ডলার। আরও তিনটি ভবনে তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছিলেন, যার দাম ৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
২০১৯ সালে আবদুস সোবহান এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর জ্যাকসন হাইটসে আরও একটি সম্পত্তি কেনেন প্রায় ১.২ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। এসব সম্পত্তির সবই নগদ টাকায় কেনা হয়েছিল। এ প্রতিবেদনের পরে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দাখিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনুসারী এ আইনজীবী জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতিদের একটি বেঞ্চ আবদুস সোবহানের যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৯টি বাড়ি কেনার বিষয়ে অনুসন্ধান করতে দুদককে নির্দেশ দেন। এর পরপরই মাদারীপুর-৩ আসনের এ এমপির বাড়ি কেনাসহ অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে আবদুস সোবহানের নামে বাড়ি রয়েছে কিনা, তা যাচাই-বাছাইয়ে এমএলএআর (মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিকোয়েস্ট) ২০২৩ সালের ২০ জুন পাঠানো হয়। যদিও এমএলএআরের জবাব এখনও পাওয়া যায়নি। ফলে, অনুসন্ধান কাজ স্থবির হয়ে আছে।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আবদুস সোবহান গোলাপ ও তার পরিবারের কোনো সদস্যের আর্থিক লেনদেনের তথ্য রয়েছে কিনা, এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয় দুদক।
আবদুস সোবহান গোলাপের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে– জানতে চাইলে জহুরুল হক বলেন, ‘সেটা অনেক আগের কথা। অনেক আলোচনা ছিল। এখন মনে নেই।’
২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্লট জালিয়াতি ও নকশা বহির্ভূতভাবে হোটেল সারিনা নির্মাণের অভিযোগে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের অভিযোগে বলা হয়, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মালিকানাধীন বনানীর ১৭ নং রোডের ২৭ নং প্লটটি ডেভেলপ করার নামে ২২ ভবনের অধিকাংশ ফ্লোর আত্মসাৎ করেছে।
রাজউকের নকশা বহির্ভূতভাবে ওই ভবন নির্মাণ করেছে। এছাড়া ২৫ নং প্লটেও নকশা বহির্ভূতভাবে ২১তলা ভবনবিশিষ্ট হোটেল সারিনা নির্মাণ করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়– আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও তার স্ত্রী তাহেরা খসরু আলমের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দেখা যায়, তারা বনানী এলাকার ১৭ নং রোডের ২৭ ও ২৫ নং প্লটে অবস্থিত পাঁচ তারকা হোটেল সারিনা ইন লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার।
এর আগে, ২০১৮ সালের আগস্টে আমীর খসরু মাহমুদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর তিনি ও তার স্ত্রী তাহেরা আলমকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চিঠিও দিয়েছিল সংস্থাটি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ভয়েসব অব আমেরিকাকে বলেন, এ মামলার কার্যক্রম এখন আদালতে চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুদকের করা মামলাতেই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বর্তমানে সরকারের শর্তসাপেক্ষ মুক্তিতে আছেন বিএনপির এ চেয়ারপারসন। এছাড়া, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মামলা চলছে দুদকের।
প্রভাবশালীদের ক্ষেত্রে কি দুর্বল দুদক?
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তুলে গত ৩১ মার্চ স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে দুই পর্বের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ ও ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে অনুসন্ধান চেয়ে ৪ এপ্রিল দুদকে আবেদন করেন আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন। কিন্তু দুদকের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে ২১ এপ্রিল আদালতের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তিনি।
২৩ এপ্রিল বেনজীরের সম্পদ নিয়ে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান প্রতিবেদন আগামী দুই মাসের মধ্যে জমা দিতে দুদককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ওইদিন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের বলেন, বেনজীর আহমেদের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদকের তিন সদস্যের একটি কমিটি কাজ শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু গণমাধ্যমে একই ধরনের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এসব অভিযোগের বিষয়ে দুদক আইন অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছে।
প্রভাবশালীদের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশের পর কেন দুদক অনুসন্ধান কার্যক্রম হাতে নেয়– এমন প্রশ্নের জবাবে খোরশেদা ইয়াসমীন বলেছিলেন, গণমাধ্যমে অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পর দুজন কমিশনার দেশের বাইরে থাকায় এবং ঈদের ছুটির কারণে ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা ঠিক নয়, দুদক আদালতের দিকে তাকিয়ে থাকে।
এ বিষয়ে দুদকের সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, কোর্ট দুই মাসের সময় দিয়েছেন প্রতিবেদন জমা দিতে। সেটির কাজ চলমান রয়েছে। যা-ই হোক না কেন, এ সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে।
২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানকে নিয়ে ‘একটি-দুটি নয়, ১৪ বাড়ি! দেশে নয়, সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে’ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়– সব বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে।
দেশ থেকে অর্থ পাচার করে তিনি এসব বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ও লেনদেন প্রক্রিয়ার তথ্য খুঁজতে নেমেছে ইন্টারপোলসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিপুল পরিমাণ অর্থে একের পর এক বাড়ি কেনার ঘটনায় দেশটির গোয়েন্দা তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকসিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৯ জানুয়ারি প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন দুদকের সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুদকে দাখিল করা দুটি অভিযোগের অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চান হাইকোর্ট।
দুদককে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেছেন আদালত। এরপর ১১ জানুয়ারি ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। দুদক উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে।
যদিও ওয়াসার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাকসিম এ খান দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনও বাড়ি নেই, ‘‘সেখানে ১৪টি বাড়ির ব্যাপারে ‘ডাহা মিথ্যা’ একটা প্রতিবেদন ছাপানো হলো।” সেখানে তার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান থাকে, তারা দুজনেই ভালো চাকরি করে বলে জানান তাকসিম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারব না। ফাইল দেখে বলতে হবে। প্রায় একই কথা বলেন দুদক কমিশনার জহুরুল হক। দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, এটা তো এখন আমার কাছে আসেনি। দুদক থেকে জেনে বলতে হবে।
প্রসঙ্গত, দুদকের নিয়ম অনুযায়ী– কোনও অভিযোগ এলে প্রথম ধাপে সেটি দুদকের যাচাই-বাছাই কমিটিতে ওঠে। দ্বিতীয় ধাপে তারপর সেটি অনুসন্ধান করা হবে কিনা, তার সিদ্ধান্ত হয় কমিশন সভায়। সভায় অভিযোগ অনুসন্ধানের উপযোগী মনে করা হলে তৃতীয় ধাপে অনুসন্ধানের জন্য একজন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে চতুর্থ ধাপে মামলা করে দুদক। পঞ্চম ধাপে মামলার তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ করা। সপ্তম ধাপে মামলার চার্জশিট আদালতে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে কোনো অভিযোগের মামলা হওয়ার পরই সাধারণ আইনজীবীদের কাছে বিষয়টি যায়।
৫৮ মামলার চার্জশিটের আসামি বাচ্চু ‘ধরাছোঁয়ার বাইরে’
আট বছর তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ১২ জুন বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি ৫৯টি মামলার ৫৮টিতে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। বর্তমানে এসব মামলা আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানিতে রয়েছে।
দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি মামলা এখন অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে আছে।
এসব বিষয় নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহকে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ পাঠিয়ে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে তার একান্ত সচিব ফজলুল জাহিদ পাভেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হলে কোন বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের বক্তব্য দরকার জানতে চান।
পরে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর পক্ষে ফজলুল জাহিদ পাভেল বলেন, সবগুলো অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান কোন পর্যায়ে, সেটা তো এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে স্বাধীনভাবে অনুসন্ধান চলছে।
সূত্র: ভয়েস অফ আমেরিকা
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।