ফাইল ছবি
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই আলোচনা তৈরি হয়েছে তার দুর্নীতির সম্পৃক্ততার অভিযোগ নিয়ে। এবার সেই ইস্যুতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।
বুধবার (২৯ মে) দুপুরে তিনি দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে এ আবেদন করেন।
রিগ্যান বলেন, আজিজের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা আইন অনুযায়ী অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিতেই এ আবেদন করা হয়েছে। তবে দুদক যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। গত ২০ মে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। আজিজ আহমেদ অবসরে যাওয়ার প্রায় তিন বছর পর এ নিষেধাজ্ঞা এলো।
আরও পড়ুন>> বেনজীর আহমেদের খোঁজ মিলছে না, তিনি কোথায়?
২০১৮ সালের ২৫ জুন বাংলাদেশে চিফ অব আর্মি স্টাফ নিযুক্ত হন আজিজ আহমেদ। তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০২১ সালের ২৪ জুন অবসরে যান তিনি। এর আগে তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, জেনারেল আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করেছে। আজিজ ও তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, সামরিক চুক্তির বিষয়ে আজিজ তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিলেন এবং তার ব্যক্তিগত স্বার্থে সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করেন। আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দফতর।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।