Apan Desh | আপন দেশ

বঙ্গবন্ধুর খুনির সন্তানরা বাবার নাম পাল্টেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:২০, ৩০ মে ২০২৪

আপডেট: ১০:২১, ৩০ মে ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর খুনির সন্তানরা বাবার নাম পাল্টেছেন

ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধুর খুনি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের ছয় সন্তান তাদের বাবার নাম পরিবর্তন করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) এ তথ্য জানিয়ে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

এনআইডি নিবন্ধনের কাজটি করে থাকে ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি উইং)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে এনআইডি উইং।

ইসি সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠিটি গত সোমবার ইসিতে আসে। এতে ইসির এনআইডি শাখাকে জানানো হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী ও ১৯৭৫ সালে জেল হত্যা মামলার আসামি রিসালদার মোসলেম উদ্দিন তার নাম পরিবর্তন করে মো. রফিকুল ইসলাম খান নামে পরিচিত হয়েছেন। 

ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) জানিয়েছে, তিনি পলাতক রয়েছেন। তার ছয় ছেলে-মেয়ে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নাম রিসালদার মোসলেম উদ্দিন পরিবর্তন করে মো. রফিকুল ইসলাম খান উল্লেখ করেছেন। এ জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তিনজন ইতোমধ্যে তাদের পাসপোর্টে এবং আরেকজন ড্রাইভিং লাইসেন্সে বাবার পরিবর্তিত নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

আরও পড়ুন <> জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎবার্ষিকী আজ

রিসালদার মোসলেম উদ্দিনের সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য জাতীয় ডেটাবেজে (তথ্যভান্ডার) বাবার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া চিঠিতে মোসলেম উদ্দিনের ছয় সন্তানের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম খান, মাহমুদুল ইসলাম খান, মজিদুল ইসলাম খান, মো. মহিদুল ইসলাম খান, মো. সাজিদুল ইসলাম খান এবং সানাজ খাঁন। এর মধ্যে শফিকুল, মহিদুল ও সানাজ তাদের পাসপোর্টেও বাবার নাম পরিবর্তন করেছেন। আর মাহমুদুল ইসলাম তার ড্রাইভিং লাইসেন্সে বাবার নাম পরিবর্তন করেছেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার গণমাধ্যমকে জানান, তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিটি পেয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য দেয়া অথবা তথ্য গোপন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধের শাস্তি অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড। কোনো ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করলে বা জ্ঞাতসারে ওই জাতীয় পরিচয়পত্র বহন করলে তিনি সাত বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোনো ব্যক্তি পরিচয়পত্র জাল করার কাজে সহায়তা করলে তারও সাজা সাত বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়