Apan Desh | আপন দেশ

ভ্যাট কমিশনার ওয়াহিদার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৫৭, ১১ জুন ২০২৪

আপডেট: ১৫:০৭, ১৫ জুন ২০২৪

ভ্যাট কমিশনার ওয়াহিদার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (মূসক) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতার অপব্যবহার করে চারটি মোবাইল ফোন কোম্পানির ১৫২ কোটি টাকার ভ্যাট সংক্রান্ত সুদ মওকুফের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহ আলম শেখ বাদী হয়ে কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলা করেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

তিনি বলেন, মূসকের সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে একক সিদ্ধান্তে চারটি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানকে এ সুবিধা দিয়েছিলেন। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সাবেক কমিশনার একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে গ্রামীণফোন লিমিটেড, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করেছেন।

আরও পড়ুন>> ভ্যাট কেলেঙ্কারি: ৫৪ কোটি টাকার দায় ২ কোটিতে মুক্তি পেল এসকেবি লি.

মোবাইল কোম্পানিগুলো সাবেক কমিশনারকে ঘুষ দিয়ে এ সুবিধা নিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, এ বিষয়গুলো তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

এজাহার থেকে জানা যায়, স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার উপর ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধে সম্মত হয়। যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার ৪৩০ টাকা পরিশোধ করা হয়। নির্ধারিত এ কর মেয়াদে পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী সুদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৫২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৯০ টাকায়। মূল্য সংযোজন কর আইন অনুযায়ী সুদ আদায়ের জন্য নথি উপস্থাপন করা হয়। তৎকালীন কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন>> দুদকের চার্জশিটের পরও এসপি সুব্রত’র চেয়ার নড়েনি

কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী কিছু যুক্তি দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। স্বেচ্ছাচারিতার করে একক নির্বাহী আদেশে অসৎ উদ্দেশ্যে সুদ আদায় করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। ১৫২ কোটি টাকা সুদ আইনত আদায়যোগ্য ছিল। কিন্তু তিনি এ সুদ আদায় না করার একক নির্বাহী সিদ্ধান্ত দেন। ফলে সরকারের ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা আদায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

আসামি ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী আইন বহির্ভূতভাবে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬ নথিতে ১৫২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৯০ টাকার অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেছেন। তাই তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

আপন দেশ/এইউ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়